Friday 26 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সৈয়দপুরে এক হাজার দৌড়বিদের অংশগ্রহণে ‘নর্দান হাফ ম্যারাথন’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৪৬

ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীরা।

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে নর্দান হাফ ম্যারাথন। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টায় শহরের রাবেয়া মোড় থেকে শুরু হওয়া এ দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এক হাজার দৌড়বিদ। নারী, শিশু ও প্রবীণসহ নানা বয়সী প্রতিযোগীর অংশগ্রহণে শহরজুড়ে সৃষ্টি হয় উৎসবের আমেজ।

তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এ ম্যারাথনের আয়োজন করে স্থানীয় সংগঠন সৈয়দপুর রানারস। প্রতিযোগিতাটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল ম্যারাথনস অ্যান্ড ডিসটেন্স রেসেস (এআইএমএস) দ্বারা সার্টিফায়েড।

ম্যারাথনের মূল রুট ছিল সৈয়দপুর শহরের রাবেয়া মোড় থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের কৈপুলকী পর্যন্ত এবং সেখান থেকে পুনরায় সৈয়দপুরে ফেরা। মূল প্রতিযোগিতার দূরত্ব ধরা হয় ২১ কিলোমিটার। এছাড়া অংশগ্রহণকারীদের জন্য আরও তিনটি ধাপে ২ কিমি, ৫ কিমি ও ১০ কিমি দৌড়ের আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিযোগীরা নিবন্ধন করে এই আয়োজনে অংশ নেন। শুধু পেশাদার দৌড়বিদই নয়, স্থানীয় নারী-শিশু ও প্রবীণরাও উৎসাহের সঙ্গে দৌড়ে যোগ দেন।

ঢাকা থেকে আসা অংশগ্রহণকারী মাহমুদ বাপ্পি বলেন, ‘প্রত্যন্ত এলাকায় এমন আন্তর্জাতিক মানের আয়োজন সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। আমি অন্য ম্যারাথনেও অংশ নিয়েছি, তবে এখানকার ব্যবস্থাপনা, ভলান্টিয়ারদের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা ছিল অসাধারণ এবং মনে রাখার মতো।’

আরেক অংশগ্রহণকারী সাগর বিন হাশেম বলেন, ‘সৈয়দপুর রান আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। স্থানীয় মানুষের ভালোবাসা এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা আমাকে অভিভূত করেছে। এমন আয়োজন অব্যাহত থাকলে প্রতিটি ঘরে ঘরে রানার তৈরি হবে।’

নারী অংশগ্রহণকারী সুমাইয়া পারভীন বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত হলে আমাদের মতো তরুণীরা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে।’

পুরো ম্যারাথন সফলভাবে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করেছেন প্রায় ৪০০ স্বেচ্ছাসেবী। পাশাপাশি নীলফামারীর সৈয়দপুর ও দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা প্রশাসনও সহযোগিতা করেছে।

সৈয়দপুর রানারসের অ্যাডমিন ও রেস ডিরেক্টর, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. কামরুল হাসান সোহেল বলেন, ‘আমরা চাই এই আয়োজন শুধু প্রতিযোগিতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে একটি সামাজিক উৎসবে পরিণত হোক। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং সামাজিক সম্প্রীতি আরও জোরদার হবে।’

সারাবাংলা/এনজে

দৌড়বিদ ম্যারাথন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর