লন্ডনের প্রতি পালটা পদক্ষেপ হিসেবে ব্রিটিশ রাজনীতিক ও ‘বিশেষজ্ঞ’ গোষ্ঠীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাশিয়া। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লন্ডনের অব্যাহত সংঘাতমূলক আচরণের প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তাসের খবরে বলা হয়, রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তালিকায় এমন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে লন্ডনের ‘বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডে’ জড়িত ছিলেন। এদের মধ্যে রাশিয়াবিরোধী প্রপাগান্ডা ছড়ানো, ভুয়া বিশ্লেষণ তৈরি এবং রাশিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার প্রচেষ্টা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় যাদের নাম আছে। তারা হলেন—ওপেন সোর্স সেন্টার থিঙ্ক ট্যাংকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জেমস বাইর্ন, যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য বিভাগের অধীন ট্রেড স্যাংশনস ইমপ্লিমেন্টেশন অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর আনা ডেইবেল-ইয়াং, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সংসদ সদস্য ডেভিড ডুগান এবং ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের সেক্টোরাল স্যাংশনস প্রধান ম্যাক্স পেট্রোকফস্কি।
এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের ট্রেজারির অফিস অব ফাইন্যান্সিয়াল স্যাংশনস ইমপ্লিমেন্টেশনের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, লন্ডন এখনো কিয়েভ শাসনকে ব্যবহার করে রাশিয়াকে কৌশলগতভাবে পরাজিত করতে চায়। ইউক্রেন যুদ্ধের ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর ব্রিটেন রাশিয়াবিরোধী গোয়েন্দা উন্মাদনা, সামরিক হুমকির অভিযোগ এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে নিজেদের অর্থনীতিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে মন্তব্য করেছে মস্কো।
এদিকে রাশিয়া স্পষ্ট জানিয়েছে, যে কোনো ধরনের অপপ্রচার, কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা বা চাপের জবাবে তারা কঠোর ও জোরালো প্রতিক্রিয়া জানাবে।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, যুক্তরাজ্যের “ধ্বংসাত্মক নীতি” অব্যাহত থাকায় নিষেধাজ্ঞার তালিকা ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হবে। রাশিয়াকে অসম্মানিত বা বিচ্ছিন্ন করার জন্য লন্ডনের যে কোনো প্রচেষ্টার কঠোর জবাব দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে মস্কো।