ঢাকা: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ‘নখ-দন্তহীন’, সেখানে সব সময় ‘মেরুদণ্ডহীন’ মানুষকে বসানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের অভিজাত একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত নাগরিক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ আয়োজিত খসড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫-এর ওপর সূচনা বক্তব্য দেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
সূচনা বক্তব্যে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের নখ-দন্তহীন মানবাধিকার কমিশন উপহার দেওয়া হয়েছে। যার দাঁতও নেই, কামড়ও দিতে পারে না। যার কোনো দক্ষতা নেই, যার কোনো কার্যকারিতা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ রকম নখ-দন্তহীন কমিশনের মাথায় মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষকে বসিয়ে দেওয়াও যাবে না। মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষ কোনো দিন অন্য কারও জন্য তার মেরুদণ্ড সোজা করতে পারে না। সেজন্য সৎ, নীতিমান, সাহস করে ক্ষমতার সঙ্গে লড়াই করতে পারে, এ রকম ব্যক্তিদের মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।’
নাগরিক সংলাপে আরও বক্তব্য দেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহদীন মালিক ও সারা হোসেন, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, চাকমা সার্কেলের প্রধান রানী ইয়ান ইয়ান প্রমুখ।