ঢাকা: ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে আদ-দ্বীন মোমেন মেডিকেল কলেজের হোস্টেল থেকে নিদা খোকন (১৯) নামে এক ভারতীয় মেডিকেল শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
আদদ্বীন মোমেন মেডিকেল কলেজের এজিএম সিদ্দিকুর রহমান জানান, নিদা খান ভারতের রাজস্থানের নাগরিক। তিনি ওই মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ খান।
তিনি আরও জানান, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা এলাকায় তাদের ক্যাম্পাস। সেখানে ফরেন হোস্টেলে থাকতেন নিদা খান। তার রুমমেটরাও ভারতীয় নাগরিক। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রুমমেটদের সঙ্গে পড়ালেখা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। এরপর রুমে চলে যান। রাত ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত তার পাশের রুমের শিক্ষার্থীরা তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ পাননি। পরে রাত ২টার দিকে হোস্টেল সুপারসহ কলেজ কর্তৃপক্ষ ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে তার রুমের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেওয়া হয়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছরোয়ার হোসেন জানান, রাতে খবর পেয়ে কলেজটির ফরেন হোস্টেল থেকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর উদ্ধার করা হয়। এ সময় সিআইডির ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে।
এসআই আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শনিবার অনুষ্ঠিত একটি পরীক্ষায় নিদা খান নকল করার অভিযোগে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এটি নিয়ে সারাদিন হতাশায় ছিলেন। যে কারণে তিনি রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। তবে অন্য কোনো ঘটনা বা কারণ আছে কিনা তা বিস্তারিত তদন্তের পর বলা যাবে।