নোবিপ্রবি: ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে অনলাইনে পরিকল্পিতভাবে গুজব ও মিথ্যাচার ছড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শাখা। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম ও সেক্রেটারি আরিফুর রহমান এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে নোয়াখালীর মাইজদী শহরের একটি বাসা থেকে চট্টগ্রাম মহসিন কলেজের ছাত্রী সাদিয়া ইসরাত মীম (২১) নামে এক মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী, নোবিপ্রবি ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী দীন মোহাম্মদ পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহের জের ধরেই এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
দুঃখজনকভাবে, ওই ঘটনার সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নোবিপ্রবি শাখাকে জড়িয়ে কিছু ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। বিশেষ করে শফিক আরমান (যিনি নিজেকে ‘‘জিয়া সাইবার ফোর্সের মহাসচিব” পরিচয় দেন) অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে শিবির নেতা আখ্যায়িত করে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছেন। আমরা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি, অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাত্রশিবিরের কোনো নেতা বা কর্মী নন এবং তার ছাত্রশিবিরের সঙ্গে দূরতম কোনো সম্পর্কও নেই।’
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলো বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য একের পর এক মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে যাচ্ছে। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে তারা দীর্ঘদিন ধরে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপানোর কৌশল অবলম্বন করছে। দলীয় অর্থায়ন ও পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন নামে ফেসবুক পেইজ খুলে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত পোস্টেড নেতারা পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এসব মনগড়া ও ভুয়া তথ্য প্রচারের অপকৌশল রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব ছাড়া আর কিছুই নয়।’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও অপপ্রচারকারীদের অবিলম্বে এই মিথ্যা প্রচারের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থনার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি বিএনপির পক্ষ থেকে এ মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’