ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জাকু মাতুব্বর (৬০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এসময় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সোনাখোলা গ্রামের মাতুব্বর ও খান গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিনের আধিপত্যের বিরোধ ছিল। এদিকে, একটি ভ্যান চুরিকে কেন্দ্র করে বিকেলে উভয় পক্ষ সালিশ বৈঠকে বসে। বৈঠক চলাকালে কথাকাটাকাটি থেকে শুরু হয়ে হাতাহাতি এবং পরে উভয় পক্ষ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
নিহত জাকু মাতুব্বরের ভাতিজা বিপ্লব মাতুব্বর জানান, চার-পাঁচ দিন আগে খান গোষ্ঠীর এক ব্যক্তি নলিয়া গ্রাম থেকে ভ্যান চুরি করে। ভ্যান মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে শালিশ বৈঠক চলাকালে খান গোষ্ঠীর লোকজন মাতুব্বর গোষ্ঠীর লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার চাচা জাকু মাতুব্বরকে ইট দিয়ে বুকে আঘাত করে ও মারপিট করে। এতে তার মৃত্যু হয়।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভির জুবায়ের নাদিম জানান, সন্ধ্যার পর মারামারির ঘটনায় আহত ১০ জন আহতকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে একজন মৃত ছিলেন। এছাড়া গুরুতর আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।