টেলিভিশন বিতর্কে ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীকে হত্যার হুমকির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। এই হুমকির পর রাহুল গান্ধীর অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছে দলটি।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল আরেক কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তা চেয়ে অমিত শাহর উদ্দেশে এই চিঠি লেখেন।
চিঠিতে কংগ্রেস এই হুমকিকে ’ঠাণ্ডা মাথায়, পরিকল্পিত এবং ভীতিকর’ বলে নিন্দা জানিয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, এটি কোনো অসাবধানতাবশত উচ্চারিত কথা নয় কিংবা হঠাৎ বলা কোনো বাড়াবাড়ি মন্তব্য নয়। এটি বিরোধীদলীয় নেতা এবং ভারতের অন্যতম শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত হত্যার হুমকি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, অতীতে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক হত্যার হুমকি এসেছে। হুমকিদাতাদের অনেকেই বিজেপির রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। একইসঙ্গে, এতে ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ভেনুগোপাল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, মালায়ালম টেলিভিশন চ্যানেলের সরাসরি আলোচনায় বিজেপির মুখপাত্র প্রিন্টু মহাদেব এ হুমকি দেন।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে. সি. ভেনুগোপাল দাবি করেন, মহাদেব আলোচনার সময় প্রকাশ্যে বলেছেন, “রাহুল গান্ধীকে বুকে গুলি করা হবে।”
তিনি বলেন, “সরকারি দলের একজন মুখপাত্রের মুখ থেকে এমন সহিংস ও উসকানিমূলক বক্তব্য শুধু রাহুল গান্ধীর জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি নয়, এটি সংবিধান, আইনের শাসন ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার ওপর সরাসরি আঘাত।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “আপনার পক্ষ থেকে দ্রুত, দৃঢ় ও প্রকাশ্য পদক্ষেপ না নেওয়া হলে তা সহিংসতার বৈধতা ও স্বাভাবিকীকরণ হিসেবে বিবেচিত হবে, যা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আপনার শপথ ভঙ্গের সামিল।”
ভেনুগোপাল আরও জানান, রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ তার নিরাপত্তা নিয়ে একাধিকবার সতর্ক করেছে।
তিনি বলেন, “অবিশ্বাস্যভাবে, এসব সতর্কবার্তার একটি চিঠি, যা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে পাঠানো হয়েছিল, রহস্যজনকভাবে গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেছে। এর পেছনের উদ্দেশ্য নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে”।
ভেনুগোপাল চিঠিতে রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে দ্রুত, দৃশ্যমান এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।