ঢাকা: ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ভারত-বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে উদ্ভাবনী-নেতৃত্বাধীন প্রবৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, স্টার্টআপগুলো কেবল কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সমাধান প্রদানই করে না, বরং নতুন ধারণা এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দুই দেশকে সংযুক্ত করার সেতু হিসেবেও কাজ করে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশি স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ‘স্টার্টআপ কানেক্ট’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ৩০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা অংশ নেন।
ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, ‘স্টার্টআপ কানেক্ট’ ভারত ও বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির ওপর জোর দেয় এবং সহযোগিতার সুযোগগুলো প্রদর্শন করে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতারা
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি এবং ভারতীয় উভয় স্টার্টআপই প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তাদের সুযোগ কাজে লাগাতে পারে, শক্তিশালী আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা গড়ে তুলতে পারে এবং ভবিষ্যৎমুখী অংশীদারিত্বে ভাগাভাগি করে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে তা তুলে ধরা হয়।
হাই কমিশনার ভার্মা আশা প্রকাশ করেন যে, ‘স্টার্টআপ কানেক্ট’ প্ল্যাটফর্ম ভবিষ্যৎমুখী সহযোগিতার শক্তির ওপর ভিত্তি করে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য একটি নতুন আখ্যান তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
টেকনোহেভেন কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং এমসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ এন. করিম বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্টার্টআপ খাতের দ্রুত প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে বক্তব্য দেন।
আইকোরি এবং টেন মিনিট স্কুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মির্জা সালমান হোসেন বেগ বাংলাদেশে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগ এবং স্টার্টআপ খাতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সফল সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।
শপআপ বাংলাদেশেরসহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও আতাউর রহিম চৌধুরী, বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি প্রতিভাদের অ্যাক্সেস এবং সর্বোত্তম অনুশীলন গ্রহণে ভারতের সঙ্গে অংশীদারিত্বের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন এ ধরনের বিনিময় আন্তঃসীমান্ত উদ্ভাবনী সহযোগিতা, তহবিল অ্যাক্সেস, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বাজার অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করবে। এ অনুষ্ঠানটি চলতি বছরের ৯-১০ অক্টোবর কোয়েম্বাটুরে অনুষ্ঠিতব্য তামিলনাড়ু গ্লোবাল স্টার্টআপ সামিট সামনে রেখে আয়োজন করা হয়। যেখানে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি স্টার্টআপ অংশগ্রহণ করবে। ভারতের বৃহত্তম স্টার্টআপ সমাবেশগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে স্বীকৃত, এ বছরের তামিলনাড়ু গ্লোবাল স্টার্টআপ সামিটে ৩৯টি দেশের প্রতিনিধিদের একত্র করবে, যা স্টার্টআপ বিনিয়োগকারীদের, শিল্প নেতাদের এবং নতুন ব্যবসায়িক সুযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য একটি প্রাণবন্ত প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে।