Tuesday 30 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাচার হওয়া কিছু অর্থ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আসতে পারে: অর্থ উপদেষ্টা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:৩৫ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:৫৭

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

ঢাকা: আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থের কিছু হয়তো আসতে পারে বলে মনে করছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’র সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন সম্ভাবনার কথা জানান।

পাচারকৃত অর্থ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, টাকা যারা পাচার করে, তারা বুদ্ধি সব জানে- কীভাবে করতে হবে। এটা আনতে গেলে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তবে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। অনেক লিগ্যাল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয়তো কিছু আসতে পারে। বাকিটার জন্য আমরা ক্ষেত্র প্রস্তুত করছি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, টাকা ফিরিয়ে আনার এই ফরমালিটি কোনো সরকার অ্যাভয়েড করতে পারবে না। ধরা যাক্, আমি বললাম টাকা দিয়ে দাও সেন্ট্রাল ব্যাংকে। সুইস ব্যাংককে বলে দিলাম টাকা দিয়ে দাও। দেবে না তো। ওটা লিগ্যাল ওয়েতে আনতে হবে।

কী পরিমাণ টাকা ফেরত আনা সম্ভব হতে পারে- জানতে চাইলে ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, সেটা আমি বলতে পারবো না। এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে প্রশ্ন করেন। তবে একটা রিভিউ আমরা করছি। দেখি কতটুকু আনা যায়।

বর্তমান সময়েও কিছু অর্থ পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, বিষয়টি কিছুদিন পরে দেখবো।

প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, টাকা পাচারের ১১-১২টা কেস আমরা একেবারে হাই প্রায়োরিটিতে দেখছি। আর বাকিগুলোর মধ্যে যেগুলো ২০০ কোটি টাকার বেশি তাদেরকেও ধরা হচ্ছে। অলরেডি অ্যাসেট ফ্রিজ করা হয়েছে বাহিরের কতগুলো দেশে। কোথায় ওদের টাকা আছে, কোথায় অ্যাকাউন্ট আছে, কোন কোন দেশে ওদের পাসপোর্ট আছে সেটার তথ্যও আছে। এখন বাকি একটু কাজ করতে যতটুকু সময় লাগে।

নতুন সরকার আপনাদের ধারাবাহিকতা রাখবে কি না- জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, রাখতে তারা বাধ্য। কারণ যে প্রসেসগুলো আমরা চালু করলাম, ওইটা চালু না থাকলে তো টাকা ফেরত আনতে পারবে না। ওরা যদি বসে থাকে ফেরত আসবে না। আর যদি আনতে হয়, এ প্রসেসগুলো মেনটেইন করতে হবে। এটা তো ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিস। এটা ছাড়া কীভাবে আনবে।

একজন উপদেষ্টা নিজ এলাকায় বেশি বরাদ্দের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, না, না … প্রজেক্টগুলো তো বহু আগের করা।

বিবিএস একটা প্রতিবেদন দিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে যে, দেশের ১০টি পরিবারের মধ্যে তিনটি পরিবারেই পুষ্টিহীনতা বা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কিছুটা নিউট্রিশনের ঘাটতি আছে, বিশেষ করে শিশু আর মায়েদের মধ্যে। তবে এর জন্য আমরা চেষ্টা করছি যথাসম্ভব। আমাদের ভিজিএফ এবং স্পেশাল ট্রাকে করে দিচ্ছিল। বোধায় কাল-পরশু থেকে জেলেদের (মাছ ধরা) বন্ধ হয়ে যাবে, তাদের জন্য তো আমরা ২০ কেজি করে দিচ্ছি। অতএব আমরা চেষ্টা করছি।

প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, আমাদের খাদ্য যেটা হয় সেটা সুষম না খাদ্যটা। চালের ওপর বেশি ডিপেন্ড করি। কিন্তু অন্যারা যেগুলো খায়, সেগুলো এক্সেস। এগুলোর ক্রয় ক্ষমতা একটু কম। এই জন্য আমাদের খাদ্যের ঘাটতি, কিছু আমিষ দরকার। আমিষ বলতে আমরা মনে করি ডিমটা সব থেকে বেশি দরকার। এটা কিন্তু অনেকে ক্রয় করতে পারবেন।

সারাবাংলা/আরএস

অর্থ উপদেষ্টা অর্থপাচার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর