ঢাকা: প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর ধানমণ্ডি থানার মামলায় আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে করা আবেদন না মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। মেঘনা আলমের মোবাইল ও ল্যাপটপে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো উপাদান আছে কিনা তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এসবের ফরেনসিক প্রদিবেদন করার আদেশ দেন আদালত।
এর আগে, ২৯ জুলাই পাসপোর্ট, মোবাইল ও ল্যাপটপ ফেরত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মেঘনা আলমের আইনজীবী মহসিন রেজা পলাশ। আজ আসামির মোবাইল ও ল্যাপটপের ফরেনসিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার দিন ধার্য থাকলেও প্রতিবেদন জমা দেননি তদন্তকারী কর্মকর্তা। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে মেঘনা আলমের এসব জিনিস ফেরত দেওয়া বা জব্দের আদেশ দেওয়া হবে। আগামী ১১ নভেম্বরের মধ্যে ফরেনসিক প্রতিবেদন তৈরি করে আদালতে দাখিলের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মেঘনা আলমের জব্দকৃত জিনিসের মধ্যে রয়েছে পাসপোর্ট, আইফোন-১৬ প্রো, ম্যাগবুক, অপো মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ।
গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তার ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল হয়েছিল। গত ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে গত ২৮ এপ্রিল আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন ২৯ এপ্রিল তিনি কারামুক্ত হন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মেঘনা আলম, দেওয়ার সমিরসহ আরও দু-তিনজনের একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র রয়েছে। তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক, প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ়্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে সুকৌশলে তাদের সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে। দেওয়ান সমির কাওয়াই গ্রুপ নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক।