ঢাকা: পাহাড়ে ধর্ষণের ঘটনায় আসামিকে গ্রেফতারের পরও একটি মহল পাহাড়কে অশান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টার ‘হাজারীবাগ থেকে অস্ত্র উদ্ধারসহ গ্রেফতার এবং সাম্প্রতিক সময়ে র্যাবের বিভিন্ন আভিযানিক সাফল্য সংক্রান্ত’ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আসন্ন নির্বাচনে র্যাব প্রস্তুত আছে কিনা প্রশ্নে-র্যাবের ডিজি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারের আওতায় আনা হচ্ছে। এছাড়া নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য র্যাবের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে আমরা এগিয়ে যাবো।’
মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদপুরে ঢাকার ভেতরে অপরাধের একটা হটস্পট। মোহাম্মদপুরে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী মিলে অপরাধ দমনে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত আমরা অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করছি এবং আসামিদেরও গ্রেফতার করছি। তবে গ্রেফতার আসামিরা জামিনে বের হয়ে আবারো অপরাধ সংঘটিত করছে।’
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, বিশেষ অভিযানে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে দুই জন দুষ্কৃতিকারী মোঃ রবিউল ইসলাম (৩২) ও শরিফুল ইসলাম শান্তকে (২২) গতকাল সোমবার রাতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও ওয়াকিটকি সেটসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২। অভিযানে ১টি শর্টগান, ২টি এয়ারগান, ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ২০টি খালি খোসা, ১৮০টি ইয়ার বল, ২৫০টি ইয়ার প্লেট, ১টি ক্লিনিং কিটসহ ব্যাগ, ২টি ওয়াকিটকি সেট, ১টি চাপাতি, ১টি সামুরাই ২টি এন্ড্রয়েড মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামিরা জানায়, তারা রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পরিকল্পনা করে আসছিল। তারা কেন্দ্রীয় যুবলীগ-এর আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টায় ছিল। আর আসামি মো. রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় ও রাজধানীর কাফরুল থানায় ২টি মাদক মামলা রয়েছে। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।