চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামে ফেন্সিডিল চুরির অভিযোগে দুই মাদক কারবারির বিরুদ্ধে হাসান (২৭) নামে এক যুবককে খুঁটিতে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের চিহ্নিত দুই মাদক কারবারি মনির ও বিদ্যুতের ফেন্সিডিল চুরি করে হাসান। কয়েকদিন পর ঘটনাটি ফাঁস হলে তারা হাসানকে তার নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে দঁড়ি দিয়ে খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। নির্যাতনের একপর্যায়ে হাসান কিছু ফেন্সিডিল এবং নগদ ১৭ হাজার টাকা ফেরৎ দেয়। কিন্তু অবশিষ্ট ফেন্সিডিলের জন্য চাপ প্রয়োগ করে বিদ্যুত। শেষ পর্যন্ত মনির ও বিদ্যুৎ তার কাছে ৯০ হাজার টাকা দাবি করে তার বাড়ি থেকে গরু নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।
নির্যাতনের পরে গ্রামের মানুষ জড়ো হলে এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে হাসানকে মুক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হাসান জানান, ‘মনির ও বিদ্যুতের ফেন্সিডিল আমি নিয়েছিলাম। পরে তারা আমাকে তুলে নিয়ে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করে। আমি কিছু ফেন্সিডিল ও ১৭ হাজার টাকা ফেরৎ দিয়েছি। বাকি টাকার জন্য তারা এখনো হুমকি দিচ্ছে।’
তবে অভিযুক্ত মাদক কারবারি মনির দাবি করেন, ‘হাসান চোর, সে বিভিন্ন জায়গায় চুরি করে বেড়ায়। আমরা ভালো মানুষ। ভালো করে খোঁজ নিলেই সব জানতে পারবেন।’ তবে মাদক কারবার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। আরেক অভিযুক্ত বিদ্যুতের সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগের করা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা জানি মনির আর বিদ্যুৎ দীর্ঘদিন ধরে মাদক বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তারা সব সময় পার পেয়ে যায়। এবার প্রকাশ্যে একজনকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করেছে। এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা মাদক কারবারিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।