শাস্ত্রমতে, কুমারীপূজার উদ্ভব হয় বানাসুর বা কোলাসুরকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে। উল্লেখ্য, কোলাসুর নামক অসুর এক সময় স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করে নেয়। কোলাসুর স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করায় বাকি বিপন্ন দেবগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হোন। সেসব দেবগণের আবেদনে সাড়া দিয়ে দেবী মানবকন্যারূপে জন্মগ্রহণ করে কুমারী অবস্থায় কোলাসুরকে হত্যা করেন। পুনর্জন্মে কুমারীরূপে কোলাসুরকে বধ করেন। এর পর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়। প্রতিবছর দুর্গাদেবীর মহাঅষ্টমী পূজাশেষে কুমারীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। সব নারীর মধ্যেই বিরাজিত আছে দেবীশক্তি। তবে কুমারী রূপেই তা বিশেষভাবে প্রকটিত হয়। সেই বিশ্বাস থেকেই শতবর্ষ ধরে রামকৃষ্ণ মিশনসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে কুমারীপূজার আয়োজন করা হয়। স্বামী বিবেকানন্দ ১৯০১ সালে বেলুড়মঠে দুর্গাপূজার সঙ্গে কুমারীপূজার প্রচলন করেন। আজ রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশন ঘুরে ঐতিহ্যবাহী কুমারীপূজার ছবিগুলো ফ্রেমবন্দি করেছেন সারাবাংলার সিনিয়র ফটোকরেসপন্ডেন্ট হাবিবুর রহমান।
ছবির গল্প
মহাঅষ্টমীতে কুমারীপূজা
সারাবাংলা/পিটিএম