ঢাকা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, খাগড়াছড়িকে অশান্ত করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যই ছিল যেন পূজা শান্তিপূর্ণভাবে হতে না পারে। কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী চেষ্টা করেছে এই পূজাটা যেন ভালোভাবে না হয়। এসব সন্ত্রাসীর কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শারদীয় দুর্গাপূজার অষ্টমীতে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পাহাড়েও পূজা ভালোভাবে হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিছুসংখ্যক সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা সব জায়গায় চেষ্টা করবে, সন্ত্রাসীদের দেশে ও দেশের বাইরে থেকেও কিছু মদদাতা রয়েছে। তাদের বিষয়ে আপনারা সতর্ক থাকবেন।’
এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘দুর্গাপূজায় আপনারা সবসময় সত্যি সংবাদ প্রচার করেন। কেউ যদি কোনো অসত্য সংবাদ দেয়, তা যেন প্রকাশও করতে না পারে। যাচাই না করে কোনো সংবাদ দেবেন না।’
এর আগে, খাগড়াছড়িতে চলা উত্তেজনার সূত্রপাত হয় গত বুধবার। এর আগের রাতে অচেতন অবস্থায় খেত থেকে এক মারমা কিশোরীকে উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। মঙ্গলবার রাতেই ওই কিশোরীর বাবা ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেন। মামলার পরের দিন ভোরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরই মধ্যে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় খাগড়াছড়িতে। এই আন্দোলন একসময় সহিংস হয়ে ওঠে। ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি অতিরিক্ত সেনা ও বিজিবি মোতায়েনের পরও পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে। রোববার ১৪৪ ধারার মধ্যেই গুইমারায় ব্যাপক সহিংসতা হয়। সেখানে গুলিতে নিহত হয় তিনজন।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার জেলার চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কে অবরোধ শিথিল করা হলেও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়নি। অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও অল্পসংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে।