ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পূজার সময় পাহাড়ে পরিকল্পিতভাবে অশান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মীয় উৎসবকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।’
বুধবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর পল্টন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘আমরা চারদিকে বিভিন্নভাবে পূজাকে নিরাপদ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছি। সেই সময় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া, আমাদের সমাজের ভেতর থেকেও বিভাজনের চেষ্টা চালানো হয়েছে। তবে সরকার, প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং দলের চেয়ারপার্সনের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় সবকিছু ঠিকমতো হয়েছে।’
তিনি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ‘তারেক রহমানের নির্দেশে সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সতর্ক আছেন,যাতে পূজা নির্বিঘ্নে শেষ হয়। রাজনৈতিক স্বার্থে এই ধর্মীয় উৎসবকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা এতদিনও হয়েছে। এখনো কিছু চেষ্টা চলছে সম্প্রীতি ভাঙার।’
রিজভী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকেও সমালোচনা করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা পারিবারিক রাজত্ব করতে চেয়েছেন। তিনি দেশটাকে তার বাবার মনে করতেন। কিছু দেশ চেয়েছিল হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে বাংলাদেশের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবেন। যারা শেখ হাসিনার পতন মেনে নিতে পারেননি, তারা দেশ-বিদেশ থেকে নানা চক্রান্ত করছেন।’
গণতন্ত্র ও ধর্মীয় সম্প্রীতির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য হিন্দু-মুসলমান সবাই একসঙ্গে লড়াই করেছি। আমাদের দেশের সম্প্রীতি, ধর্ম এবং বর্ণের মধ্যে পথচলা অটুট। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে বিভাজনের চেষ্টা চালানো হয়েছে। আমাদের দীর্ঘদিনের প্রীতি ও সম্প্রীতির বন্ধনকে ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে।’
শেষে রিজভী বলেন, ‘আজকের দিনে আমরা দেখতে পাচ্ছি, কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা নেই। প্রতিটি ধর্মের মানুষ একসঙ্গে কথা বলছেন, আনন্দ করছেন এবং উৎসব উদযাপন করছেন। আমরা চাই পূজা শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হোক। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও গণতান্ত্রিক চেতনা রক্ষায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’