ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে, আহত হয়েছেন আরও ১৫০ জনেরও বেশি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে দেশটির মধ্যাঞ্চলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।
উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া ভবনগুলোতে ঢুকছে উল্লেখ করে বুধবার (১ অক্টোবর) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার ঠিক আগে কেন্দ্রীয় ভিসায়াস অঞ্চলের সেবু প্রদেশের বোগো নগরীর উপকূলে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। এতে পুরো এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে যায় এবং শতাধিক বছরের পুরনো একটি গির্জাসহ বহু ভবন ধসে পড়ে। ভূমিকম্পের পর কোনো সুনামির হুমকি তৈরি হয়নি।

বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। ছবি: সিএনএন
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি। এরপর থেকে বেশ কয়েকটি পরাঘাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালীটি ৬ মাত্রার ছিল।
ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আটকা পড়া জীবিতদের খুঁজে বের করতে সরকার উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোকে নামিয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে।
৩৪ লাখ বাসিন্দার সেবু প্রদেশ ফিলিপিন্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। ম্যাকটান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশটির দ্বিতীয় ব্যস্ততম প্রবেশদ্বার, ভূমিকম্পে এর কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়নি।
ভূমিকম্পে সেবুর উত্তরাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অঞ্চলের সান রেমিজিওকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এতে উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ বিতরণে এলাকাটি প্রাধান্য পাবে।
সান রেমিজিওর ভাইস মেয়র আলফি রেইনস বাস্তুচ্যুতদের জন্য খাবার ও পানি পাঠানোর আবেদন জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তল্লাশি ও উদ্ধারকাজের জন্য ভারী মেশিনপত্রও চেয়েছেন।
আরও পড়ুন- ফিলিপাইনে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ৩১
এর অঞ্চলের বোগো নগরীর হাসপাতালগুলো আহতদের দিয়ে ভরে উঠেছে বলে সিভিল ডিফেন্স বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।