রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে মতবিরোধের কারণে অর্থবছরের শেষ দিনেও প্রশাসনের ব্যয় সংক্রান্ত বিল পাস না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার অচলাবস্থা বা ‘শাটডাউনের’ মুখে পড়েছে। স্থানীয় সময় মধ্যরাতে সরকারি তহবিলের মেয়াদ শেষ হওয়ায় জরুরি পরিষেবা ব্যতিত অন্যান্য ফেডারেল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
শেষ মূহুর্তেও বিলটি অনুমোদন না হওয়ার কারণে সরকারি তহবিল থেকে অর্থ ছাড় স্থানীয় সময় মধ্যরাতে বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় স্টেট ডিপার্টমেন্টের লোগোর ছবিসহ দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘পূর্ণ কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত বরাদ্দের ঘাটতির কারণে জরুরি নিরাপত্তাবিষয়ক তথ্য ব্যতিত এই অ্যাকাউন্টটি নিয়মিত আপডেট করা হবে না।’
পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘এই সময়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী পূর্ব নির্ধারিত পাসপোর্ট ও ভিসা সার্ভিস অব্যাহত থাকবে।’
যুক্তরাষ্ট্র এর আগে এ ধরনের শাটডাউন হয়েছিল ২০১৮-১৯ সালে। তখনও ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
এবারেও শাটডাউন হলে ফেডারেল সরকারে ব্যাপকহারে ‘অপরিবর্তনযোগ্য’ভাবে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার নির্দেশনা অনুসারে, কয়েকদিন আগেই অফিস অব বাজেট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থাগুলোকে ‘জনবল হ্রাসের’ পরিকল্পনার খসড়া তৈরি শুরু করতে বলেছে।
সাধারণভাবে এ ধরনের শাটডাউনের ক্ষেত্রে জরুরি নয় এমন সরকারি কর্মীরা ‘আনপেইড লিভ’ অর্থাৎ বেতনহীন ছুটিতে থাকেন।
মঙ্গলবারই ছিল চলতি অর্থবছরের শেষ দিন। এদিনেই সরকারের ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ তহবিলের মেয়াদ শেষ হবার কথা।