ঢাকা: নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির বিভিন্ন অবৈধ আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।
গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ চিঠি পাঠানো হয় বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির বাইরেও বহুসংখ্যক অনিবন্ধিত এজেন্সি রয়েছে। এসব এজেন্সি অফলাইনে ও অনলাইনে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধমূলক আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। যেমন- অর্থ আত্মসাৎ, নগদ জমা অথবা অগ্রিম পরিশোধের ভিত্তিতে ক্যাশব্যাক অফার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো ডিপোজিট ও বিনিয়োগ স্কিমে অর্থ সংগ্রহ, টাকা পাচার, রাজস্ব ফাঁকি ইত্যাদি কার্যক্রমে লিপ্ত রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিস্তার রোধ একটি সামগ্রিক ও সামষ্টিক বিষয়। সম্প্রতি ফ্লাইট এক্সপার্ট নামের একটি অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির মালিক এ ধরনের প্রতারণামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে দেশ ছেড়েছেন। বিষয়টি গুরুতর ও উদ্বেগজনক। এক্ষেত্রে নিবন্ধিত কিংবা অনিবন্ধিত যেকোনো ট্রাভেল এজেন্সির অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। ট্রাভেল এজেন্সি সংক্রান্ত অপরাধের বহুমাত্রিকতার কারণে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ, রাজস্ব ফাঁকি রোধ, নগদ জমা সংক্রান্ত অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে গভর্নরের ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন এবং বিধিমালার আলোকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়। ফলে নিবন্ধিত বৈধ ট্রাভেল এজেন্সিগুলো অফলাইনে ও অনলাইনে বর্ণিত আইন ও বিধিমালা যথাযথভাবে প্রতিপালন সাপেক্ষে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে। তবে এজেন্সির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়- এমন কোনো কার্যক্রম অবৈধভাবে গ্রহণ করা আচরণবিধির লঙ্ঘন বা পরিপন্থি। বাংলাদেশ ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার একমাত্র অধিকার বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের। ফলে ট্রাভেল এজেন্সির বাজার থেকে অগ্রিম কমিশন বা ইনসেনটিভ লভ্যাংশের লোভনীয় প্রস্তাবের বিনিময়ে আমানত সংগ্রহ এবং বিনিয়োগের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক কোম্পানি আইন এবং ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন ও বিধিমালা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী এ ধরনের নগদ লেনদেন বেআইনি ও অবৈধ।