নওগাঁ: নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান ও ধামইরহাট পৌরসভার প্রকৌশলী আবদুর সালাম বিরুদ্ধে গর্ভবতী নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা চত্বরের সামনে তাদের শাস্তি ও প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মানববন্ধন শেষে তারা উপজেলা চত্বরে অবস্থান নিলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, পৌরসভার ময়লার একটি গাড়ি উপজেলার মঙ্গলকোঠা এলাকার আবাসিক এলাকায় ফেলার কারণে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় এলাকাবাসীদের কথা কাটাকাটি হয়। এই ঘটনা জানতে পেরে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান ও পৌর প্রকৌশলী আবদুর সালাম। সেখানে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে আবারও কোন্দল সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এসময় আবদুল কুদ্দুসের গর্ভবতী স্ত্রী মোসা. মিতু আক্তার ও হবিবর রহমানের স্ত্রী মোসা. সামিরনকে মারধর করেন ইউএনও।
ভুক্তভোগী সামিরন বলেন, ‘‘উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ময়লা ফেলাতে আসলে আমরা এলাকাবাসী আমাদের বসবাসে সমস্যার কথা ইউএনও-কে জানাই। তবুও উনি আমাদের কথা না রেখে আমাকে ও মিতুকে নিজেই লাঠি দিয়ে মারধর করেন। আমরা এলাকাবাসী ইউএনও’র অপসরণসহ তার কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান জানান, ‘পৌরসভার লোকজন ময়লা ফেলার জন্য গেলে এলাকাবাসী পৌরসভার লোকজনসহ আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।’ মারধরের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, ধামইরহাট পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা একটি পতিত খাস জমিতে ময়লা ফেলতে গেলে কয়েকজন ব্যক্তি ময়লা ফেলতে বাঁধা দেয় ও পরিছন্নতাকর্মীদের গালমন্দ করে তাড়িয়ে দেয়। এঘটনা প্রশাসক হিসেবে ইউএনও-কে জানালে পৌরসভার স্টাফ ও আনসারসহ ইউএনও ঘটনাস্থলে যান। সেখানে কয়েকজন অবৈধ দখলদার নারী ও পুরুষ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে এবং এক পর্যায়ে তারা লেবার ও আনসারদের গায়ে হাত তোলে। পরবর্তীতে সবাইকে শান্ত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেখান থেকে চলে আসলে দুই-একজন স্বার্থন্বেষী ব্যক্তি, যারা উক্ত খাস জমির অবৈধ দখলদার, তারা কিছু নারীসহ উপজেলা পরিষদের গেটে ইউএন’র বিরুদ্ধে নারীর গায়ে তোলা হয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ এনে মানববন্ধন করে। পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়।