পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) টানা তিন দিনের বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ, যাদের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’র বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিক্ষোভের কারণে টানা কয়েক দিন ধরে বাজার, দোকানপাট ও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। মোবাইল, ল্যান্ডলাইন ও ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির (এএসি) নেতৃত্বে চলা এই আন্দোলন প্রথমে সরকারের ৩৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে শুরু হলেও তা এখন পাকিস্তানি সেনা ও সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদে রূপ নিয়েছে। দাদিয়াল, মুজাফফরাবাদ, রাওয়ালাকোট, নীলম ভ্যালি ও কোটলিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।

বিক্ষোভকারীদের ওপর পাকিস্তানি সেনাদের হামলা। ছবি: ইন্ডিয়া টুডে
মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে পিওকে-র আইনসভায় পাকিস্তানে থাকা কাশ্মীরি শরণার্থীদের জন্য বরাদ্দ ১২ আসন বাতিল, কর রেহাই, আটা ও বিদ্যুতের ওপর ভর্তুকি, এবং স্থগিত উন্নয়ন প্রকল্প সম্পন্ন করা।
এদিকে, ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ আলোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে সংযম দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তেরও আশ্বাস দিয়েছেন।
অন্যদিকে, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনে যুক্ত কাশ্মীর পিপলস ন্যাশনাল পার্টির মুখপাত্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন, সতর্ক করেছেন মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কার বিষয়ে।