ফুটবল থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি বহুদিনের। তবে প্রতিবারই নানা অজুহাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ফিফা। এবারও ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলছেন, ফুটবল থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করলেই ফিলিস্তিনের সমস্যার সমাধান হবে না।
বহু যুগ ধরেই ফিলিস্তিনে চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। গত দুই বছরে সেটা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রতিনিয়তই গাজাসহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন জায়গায় নিহত হচ্ছেন নারী-শিশুসহ বহু মানুষ।
আর এতেই নতুন করে উঠেছে সেই পুরনো দাবি। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ফুটবল থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। ইসরায়েলকেও একইভাবে সব ধরনের ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচেও যেন ইসরায়েল অংশ নিতে না পারে, এই দাবিও তুলেছেন অনেকেই।
তবে ফিফা প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দিলেন, ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার কোন ইচ্ছা নেই তাদের, ‘ফিফা আসলে ভুরাজনৈতিক সমস্যার সমাধান দিতে পারে না। আমরা শুধু একতা, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানবতার ব্যাপারে বিশ্বকে অনুপ্রেরণা দিতে পারি। ফিফা গাজার পাশে আছি। তবে আমরা কাউকে নিষিদ্ধ করতে চাই না।’
আগামী ১১ অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে নরওয়ের অসলোতে যাবে ইসরায়েল। এর তিনদিন পর তারা ইতালির বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পৌঁছাবে উদিনেসে।
ইসরায়েলের আগমন উপলক্ষে নরওয়ে, ইতালিতে এরই মধ্যে বিক্ষোভ হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খেলার মাঠে গ্যালারিতে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন ফুটবল সমর্থকরা।