ইসরায়েলি নৌবাহিনী গাজামুখী ৪৪টি জাহাজের সমন্বয়ে গঠিত গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা-র সবগুলোই আটক করেছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে পোল্যান্ডের পতাকাবাহী মারিনেট নামে শেষ জাহাজটিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ছয়জন নাবিক ছিলেন বলে জানা গেছে।
ফ্লোটিলায় অংশ নেওয়া শত শত মানবাধিকারকর্মীকে আটক করেছে ইসরায়েল, যাদের অনেকেই আটক হওয়ার পর থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক কমিটি টু ব্রেক দ্য সিজ অব গাজা।
ভিডিও বার্তায় অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ক্যামেরন জানান, তাদের জাহাজটি ইঞ্জিন সমস্যার কারণে মূল বহর থেকে পিছিয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কঠোর মানসিকতার কয়েকজন তুর্কি আছেন, ওমানের এক নারীও আছেন। আমরা যেভাবেই হোক গাজার দিকে এগোচ্ছি।’
তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগেই সতর্ক করেছিল যে মারিনেটকে সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্র ও অবরোধ ভাঙার প্রচেষ্টা থেকে বিরত রাখা হবে। বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে শুরু করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী ৪০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা প্রায় ৫০০ কর্মীকে আটক করেছে। আটকদের মধ্যে পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, স্পেনের সাবেক বার্সেলোনা মেয়র আডা কলাউ এবং ইউরোপীয় সংসদের সদস্য রিমা হাসানও আছেন।
আন্তর্জাতিক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের (আইটিএফ) মহাসচিব স্টিফেন কটন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পানিসীমায় শান্তিপূর্ণ মানবিক জাহাজে হামলা বা জব্দ করা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ। রাষ্ট্রগুলো নিজেদের ইচ্ছেমতো আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারে না। সমুদ্রকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করা চলবে না।’
বিশ্বের নানা দেশ, বিশেষত জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, স্পেন, গ্রিস ও আয়ারল্যান্ড ইসরায়েলকে আটকদের মুক্তি দিতে আহ্বান জানিয়েছে। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ইসরায়েলি কূটনীতিকদের বহিষ্কার ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন।
জাতিসংঘ এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ ঘটনাকে অবৈধ অপহরণ বলে উল্লেখ করেছেন।