ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, ৫ আগস্টের পর দেশে ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশ নারীদেরকে এ মহান কাজে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। অতএব ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য নারী সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মহিলা ইউনিটের আয়োজনে ‘কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মাণে নারী সমাজের ভূমিকা’-শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে যারা দেশ শাসন করেছে তারা বারবার দেশকে চুরির দিক থেকে চ্যাম্পিয়ন করেছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেগমপাড়া তৈরি করেছে। দেশকে গুম ও খুনের রাজ্যে পরিণত করেছে। বিশ্বের মাঝে দেশকে একটি লজ্জাজনক অবস্থায় পৌঁছে দিয়েছিল। ফলে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব অনাচারের মূল কারণ আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানবরচিত কুফরি আইন বাস্তবায়ন করা। এখনও যারা কুফরি মতবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে তাদের বাস্তবতা আমরা লক্ষ করেছে। তারা বিভিন্নভাবে আমাদের ওপর মিথ্যাচার করে বলছ, ইসলামী আন্দোলন নাকি ১৫ বছর হাতপাখা দিয়ে বাতাস করেছি। অথচ এটা চরম মিথ্যাচার। আমরা ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও তাদের (বিএনপির) অনেক নেতারা এসব মিথ্যাচার চালিয়েই যাচ্ছে। অতএব এ কথা এখন স্পষ্ট যে ওদের চরিত্রই হলো মিথ্যা বলা।’
সেমিনারে অংশ নিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মহিলা ইউনিট, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সকল থানা ও ওয়ার্ডের সহস্রাধিক নারী নেত্রী।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহিলা ও পরিবার কল্যাণবিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক মাওলানা এবিএম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুফতি মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় মহিলা ইউনিটের সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা নুরুল করীম আকরাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) মাওলানা আরিফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মহিলা উপ-কমিটির সদস্য আলহাজ্ব শেখ মো. আবু তাহের প্রমুখ।