ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা উদ্যোগ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা-তে আলোকচিত্রী ও সামাজিক কর্মী শহিদুল আলমের অংশগ্রহণকে ইতিহাসের এক সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি একে ‘সংহতির প্রতীক’ ও ‘বিবেকের গর্জন’ বলে উল্লেখ করেছেন।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে তারেক রহমান নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন—
‘শহিদুল আলমের সাহসী পদক্ষেপ শুধু সংহতির প্রকাশ নয়, এটি বিবেকের গর্জন। বাংলাদেশের পতাকা হাতে নিয়ে তিনি বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দিলেন—বাংলাদেশের মানুষ কখনও অন্যায় ও নিপীড়নের কাছে মাথানত করে না।’
তিনি আরও জানান, ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য সংগ্রামের প্রতি বিএনপি সবসময় দৃঢ়ভাবে সমর্থন জানিয়ে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকবে। তারেক রহমানের ভাষায়, ‘আমরা শহিদুল আলমের সঙ্গে আছি, আমরা ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের পাশে আজীবন থাকব।’
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারকর্মী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও সমাজকর্মীদের নিয়ে গঠিত গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সম্প্রতি গাজামুখী যাত্রা শুরু করে। এই বহরের লক্ষ্য ছিল গাজার অবরুদ্ধ মানুষদের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। ইসরায়েলের বাধা সত্ত্বেও বহরটিকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তিপ্রিয় মানুষের সংহতির প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে এই উদ্যোগে যুক্ত হয়ে শহিদুল আলম কেবল একজন ফটোগ্রাফার হিসেবেই নয়, বরং মানবিক কণ্ঠস্বর হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতিমান আলোকচিত্রী শহিদুল আলম সবসময়ই মানবাধিকার ও স্বাধীন মত প্রকাশের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। এবারও তিনি নিজের ঝুঁকি সত্ত্বেও গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে বাংলাদেশের নামকে বিশ্বমঞ্চে উচ্চকিত করেছেন।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, শহিদুল আলমের এই অংশগ্রহণ নিপীড়িত মানুষের প্রতি বাংলাদেশের মানবিক অবস্থানকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।