নোয়াখালী: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার প্রকল্প বাজারের সড়কের পাশের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মো. জাফর নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, চানন্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সোহেল মাহমুদের বাড়িতে চুরির অভিযোগে আটক করে নির্যাতন চালিয়ে জাফরকে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ১০-১২ দিন পূর্বে বিএনপি নেতা সোহেল মাহমুদের বাড়িতে মাসিক চুক্তিতে দিনমজুরের কাজ নেয় জাফর। কয়েকদিন কাজ করার পর হঠাৎ কাউকে কিছু না বলে ওই বাড়ি থেকে চলে আসেন জাফর। তখন সোহেল মাহমুদ অভিযোগ করেন, জাফর তাদের বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় ঘরের আলমিরার চাবি, মোবাইল চার্জার ও কিছু টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। পরে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার এলাকা থেকে জাফরকে ধরে প্রকল্প বাজারে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় লোকজনের সামনে জাফরকে চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই সময় সেখানে জাফরের বাবা জাকের হোসেনকেও ডেকে আনা হয়। অবশ্য জাকের ছেলেকে সেখানে রেখে বাড়িতে চলে যান। পরে শনিবার সকালে প্রকল্প বাজার সড়কের পাশের একটি গাছের সঙ্গে জাফরের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
জাফরের বাবা জাকের হোসেন অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে চুরির অভিযোগে আটক করে নির্যাতন করা হয়েছে। পরে তাকে মেরে লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে তারা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা সোহেল মাহমুদ বলেন, তাকে সবার সম্মুখে চুরির বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মূলত তাকে ডাকতে গেলে সে এক বাড়িতে পালিয়ে থাকে। সেখান থেকে তাকে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এক পর্যায়ে তাকে সবার সামনেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আজ (শনিবার) খবর পান প্রকল্প বাজার সড়কের একটি গাছের সঙ্গে তার মরদেহ ঝুলছে।
মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) লিয়াকত আলী জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিকালে নিহত জাফরের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তিনি স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত ঘটনাটি জানার চেষ্টা করছেন। পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।