ঢাকা: ঢাকা মহানগরীর উত্তর ও দক্ষিণে ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) ডিলার নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ডিলাররা। এ সময় লটারির মাধ্যমে সর্বশেষ ডিলার নিয়োগ বাতিলেরও দাবি জানান তারা।
রোববার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর জুরাইনে ঢাকা মহানগর আঞ্চলিক অফিস এর সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মো. কাউসার আহমেদ, তরিকুল ইসলাম সবুজ, শহীদুল হক শহীদ অমিত হাসান, মো. বাসেত ও আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্য বাদ যাওয়া ডিলাররা।
সমাবেশে ভুক্তভোগীরা দাবি করেন যে, প্রকৃতপক্ষে এটি কোনো স্বচ্ছ লটারি ছিল না, বরং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রভাবশালী মহলের ইচ্ছামতো নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়োগের জন্য লোক দেখানো একটি প্রহসন। অনেক ডিলারকে বৈষম্যমূলকভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বঞ্চিত ডিলাররা বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৯টায় রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন ভবনে ওই লটারি অনুষ্ঠিত হয়। তবে নিয়ম অনুযায়ী আগে থেকে লিখিত নোটিশ না দিয়ে কেবলমাত্র নির্বাচিত কিছু ডিলারকে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে ডাকা হয়। ওই এসএমএস প্রবেশের গেটপাস হিসেবে গণ্য করা হয়।
কেন সব ডিলার সেই বার্তা পাননি- এমন প্রশ্ন তুলো তারা বলেন, নোটিশ ইস্যু না করে শুধুমাত্র মোবাইল বার্তায় কেন ডাকা হলো? কেন সংবাদপত্র, বিজ্ঞপ্তি বা নোটিশ বোর্ডে কোনোরূপ প্রচার করা হয়নি? অনেক আবেদনকারীরা এসএমএস পাননি, ফলে লটারিতে উপস্থিত থাকার সুযোগ হারান। অথচ যেসব ডিলারের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, কেবল তারাই আমন্ত্রণ পেয়ে লটারিতে অংশ নেন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজয়ী হন। এ প্রেক্ষিতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত লটারি অবিলম্বে বাতিল করে পুনর্বিবেচনার দাবি জানান তারা।
ভুক্তভোগীরা বলেন, ওএমএস নীতিমালা ২০২৪ অনুসারে পূর্বের ডিলারদের বাদ দেওয়া যাবে না, যতক্ষণ না তারা দোষী প্রমাণিত হন। এলাকা ভিত্তিক সকল আবেদনকারীর তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং স্বচ্ছভাবে নাম উত্তোলন করতে হবে। ঘুষ-বাণিজ্য ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্তভাবে ন্যায়ভিত্তিক ডিলার নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। রেশনিং কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব নেওয়া ও তদারকি কার্যক্রম শক্তিশালী করতে হবে।