গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিসরে পৌঁছেছেন হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা। এরইমধ্যে, প্রথম দফার আলোচনা ‘ইতিবাচক’ পরিবেশে শেষ হয়েছে। আজও এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) মিসরের পর্যটননগরী শারম আল-শেইখে উভয়পক্ষের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।
মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে এই আলোচনা শুরু হয়েছে। সেখানে গাজা যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বন্দি ও জিম্মি বিনিময় এবং যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
মিসরের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিভিশন আল-কাহেরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধের জন্য মিসরে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচকরা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাকে ভিত্তি হিসেবে ধরে একটি চূড়ান্ত চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করছেন।
গাজা শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়া ফিলিস্তিনি ও মিসরীয় কর্মকর্তারা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, আলোচনার প্রধান লক্ষ্য মাঠ পর্যায়ে উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি করা যাতে বন্দি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তি সম্ভব হয়।
চুক্তিতে পৌঁছালে গাজায় বন্দি ইসরায়েলি সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এই জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
মিসর ও কাতারের কর্মকর্তারা বর্তমানে উভয় পক্ষের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করছেন। চুক্তির প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা নিয়ে তাদের মাঝে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিকে, মিসরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও গাজা উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।