ওয়ানডে সিরিজে জয় এসেছিল। এবার অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে দুটি টেস্টেও জিতল ভারত। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাদের বিরুদ্ধে দুটি সিরিজে নাস্তানাবুদ করে ফিরছেন ভারতের যুব দলের খেলোয়াড়েরা। বুধবার (৮ অক্টোবর) দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত জিতেছে ৭ উইকেটে। তবে প্রথম বলেই আউট হয়েছে বৈভব সূর্যবংশী। আউট হওয়ার পর তার একটি আচরণ নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।
বুধবার ৭ উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ভারত। তারা অলআউট হয়ে যায় ১৭১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আরও বড় ব্যাটিং ধসের সামনে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। হেনিল পটেল এবং নমন পুষ্পকের বোলিংয়ের সামনে ১১৬ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। অ্যালেক্স লি ইয়ং (৩৮) ছাড়া আর কেউ বলার মতো রান পাননি।
এদিকে জিততে ৮০ রান দরকার ছিল ভারতের। ১৩ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। চার্লস লাচমুন্ডের বলে চালিয়ে খেলতে গিয়ে জুলিয়ান অসবোর্নের হাতে ক্যাচ তুলে দেন বৈভব। রান পাননি আয়ুষ মাত্রে (১৩) এবং বিহান মলহোত্রও (২১)। তবে বেদান্ত ত্রিবেদী (অপরাজিত ৩৩) জিতিয়ে দেন ভারতকে।
অন্যদিকে, প্রথম ইনিংসে আউট হওয়ার পর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান বৈভব। প্রথম ইনিংসে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়েছিল সে। আম্পায়ার আউট দেওয়ার প্রতিবাদে বৈভব জানায়, বলের সঙ্গে সংযোগই হয়নি ব্যাটের। যদিও আম্পায়ার সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি।
গত মঙ্গলবারই বৈভবের একটি কাণ্ড প্রকাশ্যে এসেছিল। ব্রিসবেন থেকে ভোরবেলায় রাজস্থান রয়্যালসের এক কর্মকর্তাকে ফোন করেছিল ১৪ বছরের এই ক্রিকেটার। বিষয়টি খোলসা করেছেন রাজস্থানের ডিরেক্টর অফ হাই পারফরম্যান্স জুবিন ভারুচা।
তিনি জানিয়েছেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সময় ভোর ৫টায় তাকে ফোন করেছিল বৈভব। সেদিন ব্রিসবেনে খেলা ছিল ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’কে জুবিন বলেন, ‘এই ছেলেটা আমাকে পাগল করে ফেলবে। আমি ওকে বলেছিলাম, বৈভব, ভারতে এখন ভোর। তুমি আমাকে কী দেখাতে ফোন করলে?’
জুবিন জানিয়েছেন, অতো ভোরে অস্ট্রেলিয়ার মাঠের ফ্লাডলাইট দেখাতে তাকে ফোন করেছিল বৈভব। ফ্লাডলাইটে সমস্যা হচ্ছিল তার। সেই অভিযোগটাই সে করতে চেয়েছিল। জুবিন বলেন, ‘ও ক্যামেরাটা ফ্লাডলাইটের দিকে করে বলল, স্যর এই লাইটগুলো দেখতে পাচ্ছেন?’
জুবিন জীবনে কোনোদিন ব্রিসবেনে যাননি। তাই প্রথমে তিনি ধরতে পারেননি, বৈভব কী দেখাতে চাইছে। রাজস্থানের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি ওকে বলি যে জীবনে কোনো দিন ব্রিসবেনে যাইনি। কিছুক্ষণ পরে বুঝতে পারি, ও আমাকে ওখানকার ফ্লাডলাইট দেখাচ্ছে।’
বৈভব বলে, ‘স্যর দেখুন, এখানে চারটি স্তম্ভ আছে। বলই দেখতে পাচ্ছি না।’ বৈভবের কথা শুনে হেসে ফেলেন জুবিন। তিনি জানিয়েছেন, ১৪ বছরের ক্রিকেটারের সারল্যে মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। বৈভবের মনে হয়েছে, তিনি সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। তাই ভোর ৫টায় ফোন করেছে।