ঢাকা: পোস্টাল ব্যালটের গোপনীয়তা অটুট থাকবে- বলে ভোটারদের আশ্বস্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ডাক-টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ ডাক ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আব্দুন নাসের খান, আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী ও ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এসএম শাহাব উদ্দীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, তিন খাম সিস্টেমে পোস্টাল ব্যালটের গোপনীয়তা অটুট এবং সবদিক থেকে সুরক্ষিত থাকবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। তাই পোস্টাল ব্যালট নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
তিনি জানান, ডাক ঠিকানা জঞ্জালমুক্ত করতে দ্রুত জিও ফেন্সিং এবং গ্রামে গুচ্ছ পদ্ধতিতে নাম্বারিং করার পাইলট হাতে নেওয়া হচ্ছে। ডাকের স্মার্ট যাত্রার অংশ হিসেবে গত অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ মোট ইস্যুকৃত চিঠিপত্র ও ডকুমেন্টের প্রায় ৮০ শতাংশ ডিএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইস্যু ও সর্টিং হয়েছে। মোট বিলিযোগ্য পোস্টাল আর্টিকেলের প্রায় ৫০ শতাংশ বিলি করা হচ্ছে এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে। একইসঙ্গে চিঠিপত্রের ইস্যু ও বিলি শতভাগ ডিএমএস-এর আওতায় আনা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ডাক বিভাগ ক্রমেই ডিজিটাল ও লজেস্টিক হাব হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, নাগরিকের ঠিকানার ডিজিটাল রূপান্তরে সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশদারিত্বে জিও ফেন্সিং করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার পাইলট প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে সেন্ট্রাল লজিস্টিক ট্রাকিং প্লাটফর্মের মাধ্যমে ই-কমার্সের জালিয়াতি রোধ করা হবে। আগামী মাস নাগাদ এই প্রকল্পটি চালু হবে। এআই ও অটোমেশন সংযোজন করে ডাক সেবার গতি ও মান বাড়ানো হবে।
উল্লেখ্য, এবার ইন্টারনেটের বাইরে থাকা মানুষকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ডাক সেবায় অন্তর্ভুক্ত করতে সেমিনার, র্যালি ও আলোচনা সভা, স্মারক ডাকটিকিট, ক্রোড়পত্র, স্মরণিকা প্রকাশ ও শ্রেষ্ঠ কর্মীদের সম্মাননার মধ্য দিয়ে বিশ্ব ডাক দিবস পালন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।