ঢাকা: নাসা গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের (ডিআইএফই) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও যুগ্ম সচিব আরিফ আহমেদ খান-কে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (০৮ অক্টোবর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শ্রম শাখা থেকে এ-সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর এক মামলায় আদালতের আদেশে এই প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়।
জানা যায়, দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তৈরি পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান নাসা গ্রুপের মোট শিল্পকারখানার সংখ্যা ৩৪। এসব কারখানায় কাজ করেন প্রায় ৩০ হাজার কর্মী। গত বছরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান আলোচিত ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মজুমদার আত্মগোপনে চলে যান। তবে গত বছরের ১ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে কয়েকটি দুর্নীতির মামলার আসামি তিনি। এদিকে তার অনুপস্থিতিতে নাসার কারখানাগুলোয় অস্থিরতা শুরু হয়। ফলে বেতন-ভাতা বকেয়া পড়তে থাকে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে শ্রমিক, মালিক ও সরকার পক্ষের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ত্রিপক্ষীয় সভায় নাসা গ্রুপের ১৬টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সভায় বলা হয়, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট এবং ক্রয়াদেশ না থাকায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে এসব কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ১০টি, গাজীপুরে দুটি, চট্টগ্রাম ইপিজেডে দুটি ও কুমিল্লা ইপিজেডে দুটি কারখানা।
চুক্তি অনুসারে, কারখানার কর্তৃপক্ষ ১৫ অক্টোবর আগস্টের বকেয়া বেতন-ভাতা (মজুরি) ও ৩০ অক্টোবর সেপ্টেম্বরের বকেয়া বেতন–ভাতা (মজুরি) পরিশোধ করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক পূর্ণ বছর চাকরির জন্য ৩০ দিনের মূল মজুরি ও মাতৃত্বকালীন ছুটির টাকা পরিশোধ করা হবে। শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের এই অর্থ আগামী ৩০ নভেম্বর পরিশোধ করা হবে। কোনো শ্রমিককে কালো তালিকাভুক্ত করা যাবে না।