নড়াইল: বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দিবসটি পালন উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টায় এসএম সুলতান ফাউন্ডেশন, নড়াইল জেলা প্রশাসন, সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা, জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি, নড়াইল প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সুলতান কমপ্লেক্সে শিল্পীর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান, নড়াইল জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক জুলিয়া সুকায়না, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আহসান মাহমুদ রাসেল, সুলতান ফাউন্ডেশনের সাবেক সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল হোসেন সিকদার, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম আব্দুল হক, সহ-সভাপতি ও ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য সুলতান মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ লাবলু, সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার কিউরেটর তন্দ্রা মূখার্জীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে শিল্পীর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৬টায় শিল্পীর বাসভবনে কোরআন খতম, ৮টায় শিশুস্বর্গে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে এসএম সুলতানের স্বরণে শিশুস্বর্গে শিশুদের আঁকা চিত্রকর্ম প্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৯২৪ সালের ১০ আগষ্ট শিল্পী সুলতান নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিল্পী সুলতানের আঁকা ছবি ভারতের সিমলা, পাকিস্তানের লাহোর, করাচি, নিউইয়র্ক, বোস্টন, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে প্রদর্শিত হয়।
কৃতিমান শিল্পী এস এম সুলতান ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সম্মাননা হিসেবে স্বীকৃতি পান তিনি। সুলতানের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য তার নিজ বাড়িতে নির্মিত হয়েছে এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর চিরকুমার অসাম্প্রদায়িক এই শিল্পী দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভোগার পর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নড়াইলের নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় তাকে সমাহিত করা হয়।