আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একাধিক বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। তবে বিস্ফোরণের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়।
তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ কাবুলে বিস্ফোরণের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
তিনি পশতু ভাষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘কাবুল শহরে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে চিন্তার কিছু নেই, সবকিছু ঠিক আছে। দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে, এবং এখনো পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।’
এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন আফগানিস্তান এবং তার পশ্চিমা প্রতিবেশী পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। পাকিস্তান অভিযোগ করছে, ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতায় আসা তালিবান সরকার তাদের মাটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠী, বিশেষ করে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-কে নিরাপদ আশ্রয় দিচ্ছে। ইসলামাবাদ তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার জন্য টিটিপি-কেই দায়ী করে।
বিস্ফোরণগুলো এমন এক সময়েও ঘটেছে, যখন তালিবান প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ছয় দিনের সফরে ভারতে পৌঁছেছেন, যা তালিবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম এমন উচ্চপর্যায়ের সফর। ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পর থেকেই আফগান তালিবানরা তাদের বৈদেশিক নীতি পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে, এবং কূটনৈতিক স্বীকৃতির জন্য ভারতের মতো আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করছে।
কাবুলে বিস্ফোরণের পর, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জল্পনা শুরু হয়, পাকিস্তান এই হামলার জন্য দায়ী। একইসঙ্গে তারা টিটিপি-র প্রধান নূর ওয়ালী মেহসুদকে টার্গেট করেছে। তবে তালিবান এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, তারা কাবুলের বিস্ফোরণে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনোটাই করছেন না। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও আল জাজিরার প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি। পাকিস্তান উলটো ভারতকে তাদের মাটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন করার অভিযোগ করে, যা নয়াদিল্লি অস্বীকার করে আসছে।