ঢাকা: বাংলাদেশ একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের পরিচয় বহনকারী দেশ। এখানে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও কুরআন-সুন্নাহ সম্পর্কে অবমাননা বা কটাক্ষের কোনো স্থান নেই। যারা এ ধরনের অপরাধে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করতে হবে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বাদ জুমা রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর (বৃহত্তর মিরপুর জোন)-এর উদ্যোগে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা কোরআন অবমাননা এবং দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নাচ-গানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং তা বাতিলের দাবি জানান।
তারা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে আরও বলেন, ‘দোষী অপূর্ব পালের বিরুদ্ধে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাচ-গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে অবিলম্বে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশের ইসলামপ্রেমী তৌহিদী জনতার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে।’ তারা ধর্মীয় শিক্ষার মর্যাদা রক্ষা ও ইসলামী চেতনায় প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে সরকারের নীতিতে অবিলম্বে সংশোধন আনার দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তারা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অপূর্ব পাল কর্তৃক কুরআন অবমাননার দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাচ-গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন মুফতি মাহমুদুল হাসান আশরাফী এবং প্রধান অতিথি ছিলেন মুফতি আবুল কালাম কাসেমী।
মুফতি ইব্রাহীম খলিল কাউসারীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন মুফতি হোসাইন আহমদ কাসেমী, কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি ইয়ামিন হোসাইন আজমী, মুফতি হিফজুর রহমান, মুফতি নজরুল ইসলাম, মুফতি আব্দুল্লাহ নাটোরী, মুফতি মোস্তফা আশরাফী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি আব্দুল হামিদ গওহারী, মুফতি নূরুল করিম ইউনুসী, মুফতি আহসান হাবীব ও মুফতি হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতারা।
এর আগে বৃহত্তর মিরপুর জোনের সদস্য সচিব মুফতি হিফজুর রহমানের নেতৃত্বে মিরপুরের সাতটি থানা থেকে পৃথক পৃথক মিছিল এসে মূল সমাবেশে যোগ দেয়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে মিরপুর-২ নম্বর পর্যন্ত রাজপথ প্রদক্ষিণের মাধ্যমে শেষ হয়।