নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করে জয়ে ফিরিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তবে ভারতের বিরুদ্ধে শূন্য করেছেন। সেই তাজমিন ব্রিটস জানিয়েছেন, গাড়ি দুর্ঘটনার পর নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। অনেক কষ্ট, আত্মত্যাগের পর ক্রিকেটে আবার ফিরতে পেরেছেন।
অঞ্জুম চোপড়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিটস বলেছেন, ‘ক্রিকেটে ফেরা সহজ ছিল না। আমি কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম। বিভিন্ন ধরনের খারাপ চিন্তা মাথায় আসত। তাই আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। তবে আমার পরিবার সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে আমার মা। মন ঠিক করার জন্য সাহায্য নিতে হয়েছিল আমাকে। তবু কাজটা সহজ ছিল না। অনেক পতন দেখেছি চোখের সামনে।’
একটি পানশালায় বসে মদ্যপান করার সময় তার জীবন অন্য দিকে ঘুরে যায়। ব্রিটস বলেন, ‘সেই পানশালায় ঢুকে একজন নারী ক্রিকেটারদের খোঁজ করছিল। ও নর্থওয়েস্টের কোচ ছিল। বন্ধুরা ওকে বলেছিল, আমিই ক্রিকেট খেলি। ওই একটা ঘটনার পর জীবন অন্য খাতে বইতে শুরু করেছিল। হয়তো ঈশ্বরেরই ইচ্ছা ছিল সেটা।’
ব্রিটস কিছু দিন জ্যাভলিন খেলেছিলেন। তারপর আবার ক্রিকেটে ফেরেন। এখন তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার নারী দলে প্রতিষ্ঠিত নাম। সম্প্রতি এক ক্যালেন্ডার বর্ষে পাঁচটি শতরান করেছেন। চাপের মুখে ম্যাচ জেতাতে তার জুড়ি নেই। স্ট্রোক নেওয়ার ক্ষমতা এবং চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রাখার গুণ প্রশংসিত হয়েছে।
ব্রিটস শুরুতে জ্যাভলিনই খেলতেন। গাড়ি দুর্ঘটনায় জ্যাভলিনের কেরিয়ার শেষ হয়ে যায়। ক্রিকেট শুরু করেছেন অনেক পরে। সেখানেও পদে পদে বাধা ছিল। প্রথমে মনে করা হয়েছিল তিনি টি-টোয়েন্টি খেলারই ক্রিকেটার। পরে একদিনের ক্রিকেটেও ছাপ ফেলতে শুরু করেন। প্রথম অর্ধশতরান করতে লেগেছিল ২০টি ইনিংস। তারপর দ্রুততম ক্রিকেটার হিসাবে সাতটি শতরান করেছেন একদিনের ক্রিকেটে।