ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেছেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে ডাক বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ডিজিটাল পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে দায়িত্বশীল ও নিষ্ঠার সঙ্গে সবাইকে কাজ করতে হবে। বিশেষত, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক বিভাগের সভাকক্ষে বিশ্ব ডাক দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘জিপিও ঢাকার ঐতিহ্যের অংশ। জিপিও কে নিয়ে সরকার কাজ করছে।’ তিনি আধুনিক, সাম্য ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘ডাক কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের নানা বৈষম্য দূরীকরার কাজ চলছে। পাশাপাশি বর্তমান জিপিও’র জায়গায় সচিবালয় সম্প্রসারণ এর বিষয়ে ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনে যে সংশয় ছিল তা দূর হয়েছে। জিপিও’র জায়গায় সমষ্টিগত স্মৃতি সংরক্ষণ এর জন্য পোস্টাল মিউজিয়াম করা হবে।’
বিশেষ সহকারী আরও বলেন, ‘মেইল এবং পার্সেল ট্রাকিং সিস্টেম এর আওতায় বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ট্র্যাকিং করা যায়। এই ট্রাকিং সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার এর মান উন্নয়নের মাধ্যমে ত্রুটিহীন করে ট্রাকিং প্রায় শতভাগে উন্নীত করার কাজ চলমান রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ই-কমার্সের সঙ্গে ডাক বিভাগকে সমন্বিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যাতে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে শহর এবং গ্রামের মানুষের বৈষম্য দূর হয়।’
অনুষ্ঠানে শিশু কিশোরদের চিত্রাংকন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের এবং ডাক বিভাগের শ্রেষ্ঠ কর্মচারীকে পুরস্কৃত করা হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান এর সভাপতিত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক এস এম শাহাবুদ্দিন, মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দফতর, সংস্থার প্রধান, বিভাগের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্তরা উপস্থিত ছিলেন।