খুলনা: নির্বাচনে পিআর পদ্ধতিকে ‘মানুষকে বিভ্রান্ত করার কৌশল’ বলে অভিহিত করেছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল আলম তুহিন। তিনি বলেন, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ও ধর্ম ব্যবসায়ী পিআর প্রক্রিয়াকে সামনে এনে জনমনে ভুল ধারণা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এ ধরনের কৌশল উপমহাদেশের কোথাও নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা পিআর পদ্ধতির নামে ষড়যন্ত্র করছে, তারা নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায় বা বন্ধ করতে চায় তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে সদর থানার অন্তর্গত ২৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিািথর বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন হবে। দৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি, এখন অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। বিএনপি একদিকে দাঁড়িয়েছেন, আর বাংলাদেশের সকল ষড়যন্ত্রকারী দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধের শক্তি, বিদেশি প্রভুদের দালাল এজেন্টরা অন্যদিকে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে থেকে যারা সুবিধা ভোগ করেছে এবং দমন পীড়নকে উৎসাহিত করেছে তারা বিভিন্ন দল ও জোটের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য লিয়াজোঁ করে চলেছে। এটা দেশের জন্য অশনি সংকেত। জামায়াত ৭১সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যে অপকর্ম করেছিল, তার জন্য জনগণের কাছে আগে ক্ষমা চাইতে হবে। তারা আবারও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। তারা বলছে, জামায়াতকে ভোট দিলে না কি বেহেশেতে যাওয়া যাবে। তারা বলছে, পূজা আর রোজা না কি মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুপ্ত অবস্থা থেকে প্রকাশ্য রাজনীতিতে আবির্ভূত হয়। তাদের আচার-আচরণ, কথাবার্তা দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করে গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীদার তারা। এই সুযোগ সন্ধানীদের ব্যাপারে সবাইকে সর্তক থাকার আহবান জানিয়েছেন।
২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে এড. মোল্লা মশিউর রহমান নান্নুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলমের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুদ পারভেজ বাবু, সদর থানা বিএনপির সভাপতি কে এম হুমায়ুন কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- তরিকুল ইসলাম, এস. এম. মুরাদ হোসেন, ডা. ফারুক হোসেন, আলমগীর আজাদ মিলন, মাসুদুল হক হারুন, সওগাতুল আলম সগীর, জামির হোসেন দিপু, আনিকা সুলতানা নিপা, শারমিন সুলতানা রাখি প্রমুখ।