বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি—নোবেল শান্তি পুরস্কার। এ বছর সেই পুরস্কার উঠেছে ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলনেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো’র হাতে। অথচ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার শান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়া কোরিনা মাচাদো তার এ পুরস্কার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উৎসর্গ করেছেন।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) নরওয়ের নোবেল কমিটি মারিয়াকে শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে।
এরপর এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন মারিয়া। এতে তিনি লিখেছেন, ‘সকল ভেনিজুয়েলানদের সংগ্রামের এই স্বীকৃতি (নোবেল পুরস্কার) আমাদের লক্ষ্য পূরণের জন্য একটি শক্তিশালী প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আর সেই লক্ষ্য হলো স্বাধীনতা অর্জন।’
‘আমরা আজ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রধান সহযোগী হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ, লাতিন আমেরিকার জনগণ এবং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে স্মরণ করছি।’
‘আমি এই পুরস্কারটি ভেনিজুয়েলার সেই নিপীড়িত জনগণের প্রতি এবং আমাদের সহায়তা করা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উৎসর্গ করছি।’
চলতি বছরে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন জমা পড়েছিল ৩৩৮ জন ও সংস্থার। এর মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পও ছিলেন অন্যতম আলোচিত প্রার্থী। অনেকেই মনে করেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশ কয়েকটি সংঘাত নিরসনে ভূমিকা রাখায় হয়তো তিনিই জিতবেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত নরওয়ের নোবেল কমিটি পুরস্কার দেয় মারিয়া মাচাদোকে—যিনি গত এক দশক ধরে ভেনেজুয়েলায় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মুখ। কমিটির চেয়ারম্যান জর্জেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস বলেন, ‘ভেনেজুয়েলার বিভক্ত বিরোধীদলগুলোকে একত্রিত করে অবাধ ও প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের দাবি তোলেন মারিয়া। তার সাহস, দৃঢ়তা ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জন্যই তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।’