Saturday 11 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আগামী ২৯ নভেম্বর মহাসমাবেশ করবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১১ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৪৬ | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৩৬

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের বৈঠক। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরিসহ ৫ দফা দাবিকে সামনে রেখে আগামী ২৯ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। সংগঠনের আমির মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের সভাপতিত্বে শনিবার (১১ অক্টোবর) পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংগঠনের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

বৈঠকে জুলাই সনদ অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান সংক্রান্ত আগামীকালের ঘোষিত কর্মসূচি সারাদেশে সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য জেলা শাখাগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া নির্ধারণে আগামী ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, অবিলম্বে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও সে অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন ছাড়া আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কোনো গুণগত পরিবর্তন আসবে না। বরং আবারও ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী শাসন ফিরে আসবে—ভারতীয় আধিপত্যবাদের খবরদারি শুরু হবে। আমরা ২৪-এর আগের বন্দোবস্তে ফেরার যেকোনো কুটকৌশল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমরা একক, সমঝোতা কিংবা জোটগত—যেভাবেই অংশগ্রহণ করি না কেন, আমাদের মূল দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রতিরোধ, ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্য সুসংহত এবং ‘বাংলাদেশ পন্থার’ জাগরণ। কোনোভাবেই পরাজিত ফ্যাসিবাদকে ফিরে আসতে দেব না—ফ্যাসিবাদ যে নামেই ফিরুক না কেন।’

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে সংঘটিত শাপলা গণহত্যা, বিডিআর হত্যাকাণ্ডসহ প্রতিটি গুম, খুন ও অপহরণের বিচারিক কার্যক্রম দ্রুত গতিশীল করতে হবে। অপরাধীরা যত প্রভাবশালী বা পদমর্যাদারই হোক না কেন, তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই অপরাধীরাই ভারতীয় আধিপত্যবাদকে বাংলাদেশে বৈধতা দিতে এবং হাসিনার বর্বর শাসন টিকিয়ে রাখতে অসংখ্য জঙ্গি নাটক সাজিয়েছিল, যার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে। অতএব, এসব অপরাধীর দায়মুক্তি দিতে যেন কেউ কোনো অপপ্রয়াস না চালায়—সে যত প্রভাবশালীই হোক না কেন।’

সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা জালালউদ্দীন আহমদের পরিচালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন— সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মাওলানা আলী উসমান, মুফতি সাঈদ নূর, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, মাওলানা মাহবুবুল হক, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আব্দুল আজীজ, মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ, মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ হাদী প্রমুখ।

প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, অফিস সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন খান, আইন বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শরীফ হোসাইন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাইদ, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নূর মুহাম্মদ আজীজ, সহ-বায়তুলমাল সম্পাদক ক্বারী হোসাইন আহমদ।

সারাবাংলা/এমএমএইচ/জিজি

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর