চুয়াডাঙ্গা: বাংলাদেশের আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে শিক্ষকদের পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে শহিদ হাসান চত্বরে এসে শেষ হয়।
মিছিলটির নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি আজিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম বকুল, সহ সভাপতি মাওলানা জহুরুল ইসলামও আদর্শ শিক্ষক পরিষদের সভাপতি দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী।
মিছিল শেষে চুয়াডাঙ্গা শহিদ হাসান চত্বরের মুক্ত মঞ্চে আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মাওলানা জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শফিউল আলম বকুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা আজিজুর রহমান।
এতে এমপিও ভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষকদের ৫০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১০০ শতাংশ বোনাস, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, এবতেদায়ি মাদরাসা ও নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি এমপিওভুক্তকরণ এবং শিক্ষকদের অবসর ভাতা ও কল্যাণ তহবিল পাওনাদি দ্রুত পরিষদের দাবি জানানো হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সরকার এমপিও শিক্ষকদের সঙ্গে তামাশা শুরু করেছে। আমাদের দাবি মানতে হবে। ন্যায্য দাবি না মানলে আগামীতে রাজপথে নামবো। আর তাই শিক্ষকদের দাবি আদায় করেই ছাড়বো। আমাদের বছরের ঈদ বোনাস সবকিছু সঠিকভাবে শিক্ষকদের বণ্টন করে দিতে হবে সরকারের। দেশের যারা উপদেষ্টা তাদেরকে বলতে চাই শিক্ষক জাতির কারিগর হিসেবে কাজ করে। চিকিৎসা ভাতা ও ওষুধ ভাতা বাড়ি ভাড়া ও ১০০ শতাংশ বোনাস এই আমাদের এই দাবি মানতে হবে। ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আগামীতে যেন রাজপথে না আসতে হয় সে ব্যাপারে তাদের সাবধান করে দিচ্ছি। আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের যে যৌক্তিক দাবি তা মানতে হবে। যাবতীয় সুবিধা বাস্তবায়ন না করলে আবার রাজপথে ফিরবো দাবি আদায়ে। শিক্ষকদের বেতন ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে। একাধিকবার আমাদের ভাতা দেওয়ার কথা বলেও দেয়নি সরকার। তাই শিক্ষকদের যৌক্তিক এই দাবি মানতে হবে সরকারের।’
সমাবেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারির ও জেলা আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল বলেন, ‘এই দেশকে সামনে এগিয়ে দেওয়ার জন্য যাদের নেতৃত্বে দেশের সন্তানরা আলোকিত হয় তারা হচ্ছেন শিক্ষক। আমরা মনে করি শিক্ষকরা যে যৌক্তিক দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছে তাদের এই দাবি যথেষ্ট গুরুত্ব। যারা জাতি গঠনে ভূমিকা রাখে, তাদের বেতন ভাতা অর্ধেক এটি মানা যায় না। বর্তমান সরকারকে জানায় শিক্ষকদের যে যৌক্তিক দাবি তা মানতে হবে। দেশের জাতি গঠনে ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকদের সর্বোচ্চ সম্মানের ভূমিকায় নিয়ে যেতে হবে।’
সমাবেশে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি শাহজাহান আলী,জেলা শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন, জেলা মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সহ-সভাপতি জহুরুল ইসলাম মামুন,আলমডাঙ্গা উপজেলার নওলামারি ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আব্দুল লতিফ কলম, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওয়ালানা জুলফিকার আলী ও বদরগঞ্জ বাকিবিল্লাহ কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল রুহুল আমিন প্রমুখ।