দক্ষিণ লেবাননে বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে এক সিরীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ছয়জন। আহতদের মধ্যে দুইজন নারীও আছেন। এতে ধ্বংস হয়েছে শত শত যানবাহন ও যন্ত্রপাতি।
শনিবার (১১ অক্টোবর) লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের আল-মাসাইলেহ সড়কের পাশে এ হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে খবরটি নিশ্চিত করেছে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হামলায় নিহত ব্যক্তি সিরিয়ার নাগরিক। আহতদের মধ্যেও একজন সিরীয় রয়েছেন। আহত বাকিরা লেবাননের নাগরিক, যাদের মধ্যে দুইজন নারী।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলার দায় স্বীকার করে দাবি করেছে, তারা হিজবুল্লাহর অবকাঠামো লক্ষ্য করে আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলের দাবি, ওই এলাকায় থাকা ইঞ্জিনিয়ারিং যন্ত্রপাতিগুলো হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী তাদের স্থাপনা পুনর্গঠনের কাজে ব্যবহার করছিল।
তবে লেবানন এই দাবি মানেনি। দেশটির প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন এই হামলাকে স্পষ্ট ‘আগ্রাসন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির পরপরই এই হামলা চালানো হয়েছে। এটি ইচ্ছাকৃত উসকানি এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান উত্তেজনার পটভূমিতে ২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হয়েছিল সীমান্তসংঘর্ষ। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা এই সংঘাত ২০২৪ সালের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সাময়িকভাবে থেমে যায়। কিন্তু ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরেই নতুন করে ইসরায়েলের আক্রমণ শুরু হয়, যা পরে পূর্ণমাত্রার সংঘাতে রূপ নেয়।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাতে চার হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ১৭ হাজার।