ঢাকা: রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন প্রত্যাশী ১০ নতুন রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে অধিকতর তদন্তে অঞ্চলভিত্তিক ১০টি কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (১২ অক্টোবর) জনবল ব্যবস্থাপনা শাখার এক চিঠিতে এ তথ্য জানায় ইসি। ইসি সূত্র জানিয়েছে, ইসির প্রশাসনিক ১০ অঞ্চলেই হবে ওই দলগুলোর কার্যক্রম নিয়ে তদন্ত। এতে কোনো গড়মিল না পেলে নেওয়া হবে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
জানা যায়, ইসির জনবল ব্যবস্থাপনা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাজমুল কবীরের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন এর আগে মাঠ পর্যায়ের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাগণের দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মাঠ পর্যায় হতে প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্য/মতামতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপূর্ণতা, যথাযথ মন্তব্যে ঘাটতি পায়। তাই যাচাই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০টি দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অস্তিত্ব ও কার্যকারিতার বিষয়ে অধিকতর তদন্তের নির্দেশনা প্রদান করে।
দলগুলো হলো:
আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এই দলগুলোর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অস্তিত্ব ও কার্যকারিতার বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করার জন্য ১০টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ফরিদপুর, ঢাকা, রংপুর, কুমিল্লা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে রাখা হয়েছে ৩০ জন কর্মকর্তাকে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন আবেদন চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিলে ১৪৩টি আবেদন করে। তবে প্রাথমিক বাছাইয়ে কোনো দলই উত্তীর্ণ হতে না পারলে সবগুলো দলকেই ফের সময় দেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে পুনঃবাছাই শেষে শর্ত পূরণ করতে না পারায় ১২১টি দলের আবেদন বাতিল করে দেয় ইসি। পরবর্তী ২২টি দলের কার্যক্রম ও অস্তিত্ব খতিয়ে দেখতে মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করে ইসি। সেই তদন্তের পর আরও ৭টি দলের আবেদন বাতিল করা হয়। আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জাতীয় লীগ নামের দু’টি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া একটি দলের বিষয়ে আদালতের রায় পর্যালোচনা ও দুটি দলের সচিবালয় পর্যায়ে পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়। আর বাকি ১০ দলের মাঠ পর্যায়ে অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়।