ফরিদপুর: জেলার সদর ৩ আসনের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ কে আজাদের এক সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুটি মোটরসাইকেল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলাকারীরা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চানপুর জটার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার মালটা বাগান ব্যবসায়ী ইলিয়াস শেখ (৪০) জানান, তিনি বিজনেস পার্টনার রাইসুল শেখ জিয়ার (৩৪) বাড়িতে মালটা বস্তাবন্দির কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় প্রথমে ৩–৪ জন অতর্কিতে হামলা চালায় এবং তাকে এ. কে. আজাদের রাজনীতি না করার হুমকি দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে আরও ১০–১২ জন এসে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ও লুটপাট করে। হামলায় আহত হন ইলিয়াস।
বাড়ির মালিক রাইসুল শেখ জিয়া অভিযোগ করেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজের ভাতিজা ইমন বিশ্বাস বাবু (৩০), আসিফ বিশ্বাস (২৫), মিন্টু বিশ্বাস (৪৮), মোস্তাফিজুর রহমান রাব্বি (৩৪), আতিক শেখ (২৭), হৃদয় শেখ (২৫)সহ ১০–১২ জন তার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা টিনের বেড়া ও গ্রিল ভেঙে দুটি মোটরসাইকেল—একটি ইয়ামাহা এফজেড ১৫০ সিসি এবং সুজুকি জিএক্সআর এসএফ ১৫০ সিসি —এবং নগদ ৩০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। হামলার সময় তার ৭৫ বছর বয়সী মা ও ভাবিকে গালিগালাজও করা হয়।
জিয়া বলেন, “আমরা এ কে আজাদের সমর্থক বলেই এই হামলা হয়েছে। তারা হামলার সময় আজাদ সাহেবকে নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে এবং ভবিষ্যতে মিটিং-মিছিলে অংশ নিলে শাস্তি দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ বলেন, কোনো হামলা বা লুটের ঘটনা ঘটেনি। ওই বাড়ির পাশে বসা লোকজন আসিফকে উসকানি দেয়ায় কথাকাটাকাটি হয়েছে মাত্র। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, জিয়া ও ইলিয়াস স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম মজনুর লোক। এরা বহিরাগত লোক নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান বলেন, আমি অফিসের কাজে ফরিদপুরের বাইরে রয়েছি। হামলার ঘটনা জানার পর সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অপরাধী যারাই হোক তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।