রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব ফুল ও শিক্ষা সামগ্রী উপহার দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করেন।
দিনের শুরু থেকেই মিলনায়তন প্রাঙ্গণ নবীনদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। নির্ধারিত সময় শুরু হয় নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা।
এরপর ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হয় অতিথিদের আসন গ্রহণ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ। পরবর্তী পর্যায়ে অতিথিরা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরাও নিজেদের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘নবীন শিক্ষার্থীরা হলো একটি পণ্যের কাঁচামালের মতো। তোমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছো-এর অর্থ, তোমাদের ভেতরে এক নতুন সম্ভাবনার সূচনা হয়েছে। এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে আবেগকে নয়, যুক্তি ও শৃঙ্খলাকে কাজে লাগাতে হবে। তোমরা অনেক পথ পাড়ি দিয়ে আজ এই সুন্দর ক্যাম্পাসে এসেছো-যেখানে তোমাদের বাবা-মা ও সমাজের স্বপ্ন জড়িয়ে আছে। তাই এই স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব তোমাদের কাঁধে।’
এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখা, নৈতিকতা অনুসরণ করা এবং সমাজ ও দেশের প্রতি দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান।
নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘তোমরা আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছো জ্ঞানের আলোয় নিজেদের আলোকিত করতে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যতো বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবে, তোমাদের জীবন ততো সুন্দর ও সমৃদ্ধ হবে। এখানে প্রতিটি বিভাগে সেমিনার ও লাইব্রেরির সুযোগ রয়েছে—এসব সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা যাতে কোনো আর্থিক সমস্যায় না পড়ো, সে জন্য আমরা এবার থেকে উপবৃত্তির পরিমাণ দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জ্ঞানের প্রতিটি শাখা গুরুত্বপূর্ণ—তাই জ্ঞানের পথে নিরন্তর হাঁটতে হবে। তোমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। প্রথমবর্ষে পদার্পণের এই মুহূর্ত থেকেই ভবিষ্যতের পথ তৈরি হতে থাকে। তোমরা এখানে শিখতে এসেছ, তাই যতো বেশি শেখা যায় শিখবে, নিজেকে গড়ে তুলবে। কঠোর পরিশ্রম ও সৃজনশীলতা চর্চার মাধ্যমে তোমরাই আগামী দিনের নেতৃত্ব গড়ে তুলবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খানের সভাপতিত্বে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুর্শিদা ফেরদৌস বিনতে হাবীব।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন ও প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ, গণসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর ড. আখতার হোসেন মজুমদার প্রমুখ।