Monday 13 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করলে ২ দেশেরই লাভ: রাষ্ট্রদূত হামু দর্জি

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট
১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:০৯ | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:৩৬

‘বাংলাদেশ-ভুটান সম্পর্ক: ভাগাভাগি সমৃদ্ধির জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নীতকরণ’ শীর্ষক কান্ট্রি লেকচার

ঢাকা: বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত দাশো কর্মা হামু দর্জি দুই দেশের স্থায়ী অংশীদারিত্বের বিষয় উল্লেখ করে বলেছেন, ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করলে বাংলাদেশ ও ভুটান উভয় দেশই পারস্পরিকভাবে লাভবান হতে পারে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এক কান্ট্রি লেকচারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

‘বাংলাদেশ-ভুটান সম্পর্ক: ভাগাভাগি সমৃদ্ধির জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নীতকরণ’ শীর্ষক এই কান্ট্রি লেকচার অনুষ্ঠিত হয় বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে। অনুষ্ঠানে ভুটানের রাষ্ট্রদূত দাশো কর্মা হামু দর্জি বিশেষ অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রদূত দাশো কর্মা হামু দর্জি তার বক্তব্যে দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী অংশীদারিত্বের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি পরিবেশ, জলবিদ্যুৎ সহযোগিতা, পর্যটন ও শিক্ষার মতো অভিন্ন অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলোর ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘ভুটান পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এবং আঞ্চলিক সম্প্রীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎমুখী সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

রাষ্ট্রদূত আরও জানান, বর্তমানে ভুটানের বহু শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়াশোনা করছেন; বিশেষ করে মেডিকেল শিক্ষায়। বর্তমানে প্রায় ২৩০ জন ভুটানি মেডিকেল শিক্ষার্থী বাংলাদেশে অধ্যয়ন করছেন। অপরদিকে, ভুটানে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ আরও সহজ হয়েছে। গত এক বছরে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি ভুটান ভ্রমণ করেছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ভুটানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন ও ভারতের সঙ্গে ভুটানের সীমান্ত রয়েছে। দুই দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক ভালো।’

অনুষ্ঠানে সাবেক রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বাংলাদেশ-ভুটান সম্পর্কের বিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেন এবং বাণিজ্য, সংযোগ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সহযোগিতার ক্ষেত্রে উদীয়মান সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরেন। তার মতে, এই সহযোগিতাগুলো অঞ্চলে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএস-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ ভুটান। দুই দেশের এই দীর্ঘ বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় করতে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও উন্নয়নমূলক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।’

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান। বক্তৃতা শেষে অনুষ্ঠিত উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির নানা দিক নিয়ে মতবিনিময় করেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, কূটনৈতিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গবেষক, শিক্ষাবিদ, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন।