ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে— এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় বৈঠকের পর এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের কেউ কেউ বলে যে নির্বাচন করতে গিয়ে যদি ঝামেলা হয় তাইলে গণভোট আবার অনিশ্চিত হয়ে যাবে। আপনি ঝামেলাটাসহ যদি জাতীয় নির্বাচনে যান ওটাতে যদি ঝামেলা হয়ে যায় তাইলে আমছালা দুইটাই চলে যাবে। এইজন্য আমরা মনে করি যে একটা সহজতর নির্বাচন যাতে আমরা এখানে এক্সপেরিয়েন্স নিতে পারি। এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে নির্বাচন করতে পারি যে কিভাবে পুলিশ সহযোগিতা করে।
আবু তাহেরের মতে, গণভোট তো খুব একটা সিম্পল একটা ইলেকশন। এখানে কোনো বড় ধরনের ফাইনান্স (নির্বাচনি খরচ) নাই। যে বাক্স আপনি গণভোটের জন্য কিনবেন ওই বাক্স দিয়েই জাতীয় নির্বাচন করা যাবে। শুধু খরচ বাড়তি হচ্ছে একটা ব্যালট ও কালি। এ ছাড়া যারা ইনভলভ হবেন অফিসাররা বা এক্সিকিউটিভ যারা আছেন। তাদের সন্মানী, খাওয়ার জন্য কিছু লাগবে। এর বাইরে তেমন কোনো খরচ নাই।’
একসঙ্গে গণভোট হলে তেমন সাড়া পাওয়া যাবে না বলে মনে করেন তিনি।
নায়েবে আমির বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে সব দল ব্যস্ত থাকবে। জাতীয় নির্বাচনের কনসার্ন থাকবে সবাই। দেখা যাবে গ্রামের সাধারণ ভোটাররা ধানের শীষ বা দাঁড়ি পাল্লায় ভোট দিয়ে গণভোটের কাগজটা পকেটে নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘কারণ তাকে আরেকটা ভোট দেওয়ার জন্য যে চাপাচাপিটা কে করবে? কারণ আমি তো ততক্ষণ আরেকটা ভোটের জন্য দৌড়াব। সে কারণে যেটা বলা হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন গণভোট পৃথকভাবে করতে হবে। আলাদা যদি হয় মানুষ এটা রিটার্ন করবে এবং সংস্কার চায় দেশের মানুষ।’
গণভোটের বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তা বাস্তবায়ন করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে আশ্বস্ত করেছে বলে জানান জামায়াতের এ নেতা।
তাহের বলেন, ‘ইসি আমাদের জানিয়েছে, সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় তারা এটা বাস্তবায়ন করবেন। সেখানে ইসির কোনো সমস্যা হবে না।’
আব্দুল্লাহ তাহেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার ও মতিউর রহমান আকন্দ বৈঠকে অংশ নেন।