চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা মামলার আসামি এক বন্দির মৃত্যু হয়েছে। নগরীর বাকলিয়া থানায় গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তি একমাসেরও বেশিসময় ধরে কারাগারে ছিলেন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে অসুস্থ অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত আবু কালাম (৩৬) কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার বগারবিল শান্তিনগর এলাকায় থাকতেন।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন সারাবাংলাকে জানান, হাজতী আবু কালাম সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বুকে ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট ও দমবন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন বলে জেল সুপার জানান।
মৃত আবু কালাম গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার শান্তিনগর বগারবিল এলাকায় মো. সাজন মিয়া (৪৭) নামে এক গ্যারেজ মালিক খুনের মামলার আসামি ছিলেন। ওই রাতে হত্যাকাণ্ডের পরই বাকলিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল।
বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন সারাবাংলাকে জানান, নিহত সাজন মিয়ার বাড়িও কিশোরগঞ্জ জেলায়। তার গ্যারেজের পাশে তার ১৪ বছর বয়সী শ্যালক বাদশা দই বিক্রি করতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তাহের আলী নামে একজন ব্যক্তি সেখানে দই কিনতে যান। দাম নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে বাদশা ও তাহেরের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জেরে তাহের আলী পরবর্তীতে দলবল নিয়ে গিয়ে ওই গ্যারেজে হামলা করেন। এ সময় ছুরিকাঘাতে সাজনের মৃত্যু হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ আবু কালামসহ দুজনকে গ্রেফতার করে। পরদিন (৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে হাজিরের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।