রাজবাড়ী: রাজবাড়ীতে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব ও ব্যবহার’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সোমিনারে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শংকর চন্দ্র বৈদ্য, রাজবাড়ী সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর আবু জিহাদ আনছারী।
সেমিনারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব ও ব্যবহার বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দেন রাজবাড়ী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার মোহাম্মদ জুনায়েদ বিন ফেরদৌস। এসময় বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সরকারি দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা আক্তার বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমন একটি প্রযুক্তি যা শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাংকিংসহ প্রায় সব খাতেই ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। শুধু কর্মক্ষেত্রই নয়, আমাদের জীবনধারাতেও এর প্রভাব পড়ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে কাজগুলো দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা সম্ভব। যেকোনো বিশাল তথ্যভাণ্ডার থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে মানুষের তুলনায় এআই অনেক দ্রুত এবং কার্যকরী। এআই সিস্টেমগুলোতে সাধারণত ভুলের সম্ভাবনা কম। তাই এআই ব্যবহার করে আমরা নিজেকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করতে পারি। ভবিষ্যতের জন্য এআই বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমরা অনেকেই এআই, চ্যাট জিপিটিসহ অন্যান্য সফটওয়্যার ব্যবহার করি। চ্যাট জিপিটি অন্যান্য চ্যাট বটের মতই কাজ করে। চ্যাট জিপিটিকে প্রশ্ন করলে উত্তর দিয়ে দেবে। এই সফটওয়্যারগুলো ব্যবহারে যেমন সুবিধা তেমন ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। এটি গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যদি এই তথ্যগুলো হ্যাক হয়ে যায় বা ভুলভাবে ব্যবহৃত হয়, তাহলে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। আমরা সবসময় এগুলো ভালো কাজে ব্যাবহার করবো।’