ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিষধর সাপের কামড়ে তাসলিমা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের অ্যান্টিভেনম থাকলেও সেখানে আইসিইউ না থাকায় ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়ার পথে তাসলিমার মারা যাওয়ার কথা জানান নিহতের পরিবার।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার শেখর ইউনিয়নের চরশেখর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত তাসলিমা এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের জননী। তিনি ওই গ্রামের আনসার শেখের স্ত্রী।
হাসপাতাল ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চরশেখর গ্রামের আনসার শেখের স্ত্রী তাসলিমা বেগম মুরগির ঘরে (খোপ) মুরগি উঠেছে কিনা দেখতে গেলে খোপের ভেতরে থাকা বিষধর সাপ ছোবল দেয়। পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে ওই গৃহবধুকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে রোগীকে পরীক্ষা শেষে উপস্থিত চিকিৎসকরা জানতে পারেন তাকে বিষধর সাপে কামড়েছে। রোগীকে অ্যান্টিভেনম দেওয়ার আগে তার স্বজনদের জানানো হয় প্রয়োজনে অক্সিজেন লাগতে পারে, তবে হাসপাতালে সেই ব্যবস্থা নেই। এ কথা শুনে রোগীর স্বজনরা তাকে নিয়ে ফরিদপুর মেডিকেলে রওনা দেন। সেখানে নেওয়ার পথেই মারা যান তাসলিমা।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসান বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যার পর সাপে কাটা একটি রোগীকে নিয়ে এসেছিলেন তার স্বজনরা। আমি নিজেই সেখানে উপস্থিত থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যখন বুঝতে পারি, রোগিকে বিষধর সাপে কামড়েছে, তখন রোগীকে অ্যান্টিভেনম ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে তাদের জানানো হয়, অ্যান্টিভেনাম দেওয়ার পর অনেক সময় সাইড ইফেক্টে আইসিউ লাগতে পারে। তবে সব সময় লাগে না। আমাদের এখানে সে ব্যবস্থা নেই। তারপরও ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম। এরই মধ্যে রোগীর লোকজন ভ্যাকসিন না নিয়ে ফরিদপুর মেডিকেলে চলে যান। পরে শুনেছি রোগী পথে মারা গেছেন।’