ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে সরকারি জমি মাপজোখের সময় কর্মকর্তাদের কাজে বাধা দেওয়া এবং একজন সরকারি কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে যুবদলের নেতা সোহেল জাহানকে এক দিনের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এ দণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি সোহেল জাহান (৩৫), জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি শহরের গোকর্ণঘাট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও বর্তমানে কাজীপাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শহরের কাজীপাড়ার উত্তর পাশে, ১ নম্বর খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত ১৫ শতাংশ সরকারি জমিতে ব্যানবেইসের (বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো) একটি প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণের কাজ চলছিল। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে জমির পরিমাপ করতে গেলে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম, জারিকারক বোরহান উদ্দিন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বাধার মুখে পড়েন।
জমির একটি অংশ নিজের দাবি করে সোহেল জাহান তাদের কাজে বাধা দেন এবং পরবর্তীতে উত্তেজিত হয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে জারিকারক বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং তিনি আহত হন।
ঘটনার খবর পেয়ে ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালান। পরে কাজীপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে সোহেল জাহানকে আটক করে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তোলা হয়। আদালত সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও সরকারি কর্মকর্তা লাঞ্ছিত করার দায়ে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় তাকে এক দিনের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ইউএনও সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া বলেন, ‘সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় কর্মকর্তাদের ওপর হামলা কিংবা বাধা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। অভিযুক্তকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।