Wednesday 15 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের টোকেন বিলি, ভোটগ্রহণের শেষ মুহূর্তে উত্তেজনা

চবি করেসপন্ডেন্ট
১৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৩৬ | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৩৪

লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের টোকেন বিলির অভিযোগ। ছবি: সারাবাংলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (চাকসু) শেষ মুহূর্তে এসে কয়েকজন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের কাছে গিয়ে একটি প্যানেলের প্রার্থীদের প্রচারণার টোকেন বিলির অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনার সূত্রপাত হয়।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চবির বাণিজ্য অনুষদ ভবনের ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা বেরিয়ে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে তারাও তখন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন।

শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, একটি প্যানেলের কয়েকজন প্রার্থী দুপুরে দিকে বাণিজ্য অনুষদ ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন। অন্যান্য প্রার্থীরা লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে বুথে ঢুকে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছিলেন। কিন্তু ওই প্যানেলের প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের মাঝে প্রচারণা শুরু করেন এবং হাতে টোকেন ধরিয়ে দিচ্ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

হাবিবুর বলেন, ‘আমি আরও কয়েকজন প্রার্থী মিলে বিষয়টি প্রিসাইডিং অফিসারকে গিয়ে জানাই। উনারা আমাদের প্রমাণ ছাড়া কোনো কথা না বলার জন্য বলেন। আমাদের অভিযোগ উনারা গ্রাহ্যই করেননি। পরে আমাদের জোর করে ভোট দিতে বাধ্য করে বের করে দেন।’

আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি মোবাইলে টোকেন বিলির ভিডিও করি। সেই ভিডিও নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের দেখালেও তারা সেটা আমলে নিচ্ছেন না। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওই প্যানেলের প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।’

প্যানেলের নাম জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্যানেলের নাম আমি বলতে পারবো না। আমাকে তো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে হবে। আমার প্রাণের ভয় আছে।’

এ সংক্রান্ত ভিডিওতে দেখা গেছে, দু’পক্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী উত্তেজিতভাবে কথা বলছেন। একপর্যায়ে তারা পরস্পর টানাহ্যাঁচড়া ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। কয়েকজন নির্বাচন কর্মকর্তা তাদের মাঝে দাঁড়িয়ে শান্ত করার চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীদের একাংশ তাদের লক্ষ্য করে ভূয়া, ভূয়া বলে চিৎকার করতে থাকেন।

সারাবাংলা/এমআর/ইআ
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর